রবিবার ১৬ই মে থেকে ৩০ মে। করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে লাগু হচ্ছে একাধিক কড়া বিধি। তারই অঙ্গ হিসাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে চা বাগান ও চটকলের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতি শিফটে ৩০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে জুটমিল খোলা রাখা যাবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই জুটমিলগুলির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে হাজার হাজার শ্রমিকের জীবিকা। আচমকা মিল বন্ধ হয়ে গেলে শ্রমিক মহল্লায় বড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। সেকারণেই একদিকে সংক্রমণ রোধে লড়াই, অন্য়দিকে বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের রুটি রুজি বাঁচিয়ে রাখার প্রসঙ্গ। সেকারণে দুটি বিষয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে চেয়েছে রাজ্য সরকার।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সীমিত সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে জুট মিলগুলি খোলা রাখা যাবে। অর্থ্যাৎ টোটাল স্ট্রেন্থের ৩০ শতাংশ লোকজন কাজে যোগ দিতে পারবেন। চটকল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি সিফটে সতর্কতা বিধি মেনেই তাঁরা কাজ করবেন। তবে অভিজ্ঞমহলের মতে, এর জেরে চটকলের উৎপাদন একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে না। শ্রমিকরা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কাজ পাবেন। এক্ষেত্রে হাজিরা আগের তুলনায় কিছুটা কম হলেও শ্রমিকদের একেবারে বসে যেতে হবে না। তবে জুটমিলের মধ্যে যাতে করোনা সংক্রমণ কোনওভাবেই না ছড়ায় সেকারণে অত্য়ন্ত সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে জুটমিল কর্তৃপক্ষ।