চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ৮ মাস পর খুনিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মুর্শিদ শেখ। সে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পারুলিয়া কোস্টাল থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃত জানিয়েছে, চুরিতে বাধা দেওয়াতেই বিশ্বজিত্ বাবুকে খুন করেছে সে।
গত বছর ৬ জুন ব্রড স্ট্রিটে নিজের বাড়িতে খুন হন বৃদ্ধ বিশ্বজিত্ বসু। ওই বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। পরিজনরা ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে বাড়িতে এসে দেখেন, দরজা খোলা। গোটা ঘর লন্ডভন্ড। চেয়ারের ওপর বসানো রয়েছে বিশ্বজিত্ বাবুর দেহ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, খোয়া গিয়েছে মৃতের মোবাইলফোনটি। এর পরই ওই মোবাইল ফোনের ওপর নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। কিন্তু কিছুতেই ফোনটির হদিশ মিলছিল না। অবশেষে ঘটনার প্রায় ৬ মাস পর ফোনটি ফের সুইচ অন করে কেউ। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের কাছে পৌঁছয় তার টাওয়ার লোকেশন। খুঁজে বার করা হয় সেই ব্যক্তিকে। জানা যায়, সে ফোনটি কিনেছিল অন্য একজনের কাছে।
এই ভাবে মোট ৬ বার হাতবদল হয়েছে বলে উঠে আসে পুলিশের কাছে। এভাবে প্রথম যে ফেরিওয়ালা ফোনটি কিনেছিলেন তিনি মুর্শিদের নাম জানান পুলিশকে। শুক্রবার রাতে গ্রেফতার হয় মূল অভিযুক্তকে।
পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, ওই দিন চুরি করতে বিশ্বজিত্ বসুর বাড়িতে ঢোকে সে। কিন্তু টের পেয়ে বিশ্বজিত্ বাবু তাকে বাধা দেন। পালাতে বৃদ্ধকে খুন করা ছাড়া গতি ছিল না তার কাছে। যাওয়ার সময় ফোনটি নিয়ে যায় সে।