বিজেপির মহকুমা শাকসের দফতর অভিযান নিয়ে ধুন্ধুমার বাঁধল শিলিগুড়িতে। শুক্রবার দুপুরে পুলিশের বাধা টপকে বিজেপি কর্মীরা মহকুমা শাসকের দফতরে পৌঁছনোর চেষ্টা করলে হাসমিচকের কাছে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয় দুপক্ষের। অভিযানের আগে সভায় বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু পুলিশকে ফের এক দফা হুঁশিয়ারি দেন।
এদিন বিজেপির কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ও মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। সকাল ১০টা থেকে কর্মসূচি শুরুর কথা থাকলেও বৃষ্টির জেরে বেশ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়।
শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সামনে থেকে হিলকার্ট রোড ধরে মহকুমাশাসকের দফতরের দিকে এগোতে থাকেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। হাসপাতালের সামনে করা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন তাঁরা। এর পর হাসমিচকে তাদের আটকায় পুলিশ। বিশাল ব্যারিকেড করে বিজেপিকর্মীদের বাধা দেন পুলিশকর্মীরা। তখনই পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধুন্ধুমার বাঁধে। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পুলিশি বাধায় এগোতে না পেরে এর পর রাস্তায় বসে পড়েন পুলিশকর্মীরা।
এদিনও পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিতে ভুল করেননি সায়ন্তন। মিছিল শুরুর আগে তিনি বলেন, সেদিন আসছে যখন থানার ছাদে সভা করবে বিজেপি। আর থানা থেকে আনা হবে চেয়ার টেবিল। সেই টেবিলের ওপর দাঁড়িয়ে ভাষণ দেবেন বিজেপি নেতারা। আর থানায় বসে শুনবেন পুলিশকর্মীরা।
এদিন পিছিয়ে ছিলেন না বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও। তিনি বলেন, ‘আর ছ মাসের অপেক্ষা। যে সব পুলিশকর্মীরা অতিসক্রিয় হবে বিজেপিকে বাধা দিচ্ছেন তাদের প্রত্যন্ত এলাকায় বদলি করা হবে।’ বিজেপির মন্তব্যের নিন্দা করেছে তৃণমূল।