কালিয়াগঞ্জে ঘরে বন্ধ করে পুলিশকর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার আদিবাসী ও রাজবংশীদের কালিয়াগঞ্জ থানা অভিযানের সময় থানা লাগোয়া একটি বাড়িতে প্রায় ২৫ জন পুলিশকর্মীকে ঘরে বন্ধ করে ৩ ঘণ্টা ধরে মারধর করে জনতা। পরে গুরুতর আহত পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করে থানার বিশেষ বাহিনী।
মঙ্গলবারের ওই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যে বাড়িতে পুলিশকর্মীদের মারধর করা হয়েছে তার মালিক অনীতা পাল বলেন, ‘গন্ডগোলের সময় প্রাণ বাঁচাতে ২০ – ২৫ জন পুলিশকর্মী আমার ঘরে ঢুকে পড়েন। কিন্তু ওই ঘরের রাস্তার দিকে একটা জানলা ছিল। সেই জানলা দিয়ে ঘরে পুলিশকর্মীদের দেখতে পেয়ে যান আন্দোলনকারীরা। এর পর জানলা ভেঙে ঘরে ঢোকেন তাঁরা। তার পর পুলিশকর্মীদের বেধড়ক মারধর করতে থাকেন তাঁরা। লাঠি, ধারাল অস্ত্র নিয়ে চলে হামলা। পুলিশকর্মীদের জামা - জুতো খুলে পেটান তাঁরা। মারের চোটে গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। সঙ্গে আমার ঘরও ভাঙচুর করেছে আন্দোলনকারীরা। লুঠ করা হয়েছে, ঘরের আলমারি ও বিছানার তলায় রাখা টাকা। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে ধরে চলে তাণ্ডব। তার পর থানার বাহিনী এসে আহত পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করে।’
বুধবার সকালে অনীতাদেবীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় উঠোনে পড়ে রয়েছে পুলিশকর্মীদের জুতো, টিয়ার গ্যাসের সেলের খালি বাক্স। উঠোনের এক পাশে পড়ে রয়েছে আন্দোলনকারীদের ব্যবহার করা কাটারি। অনীতাদেবী বলেন, ঘটনার সময় পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে কোনও ক্রমে প্রাণ বাঁচাই। এরকম ঘটনা ঘটবে কোনও দিন ভাবিনি।
ওদিকে বুধবার সকাল থেকে ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে কালিয়াগঞ্জ থানা চত্বর। রাতভর সেখানে চলে তল্লাশি। সকালে থানার সামনে রাস্তায় পড়ে থাকা ইট সরিয়ে ফেলে পুলিশ। রাতে সেখানে পৌঁছন এডিজি অজয় কুমার। তিনি জানিয়েছেন থানায় হামলা ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।