তাঁর পরিচয় তিনি বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত সাংসদ। সেজন্য নিজের শহরে চিকিৎসক জয়ন্ত রায়কে রোগী দেখতে যাওয়ার পথে আটকাল পুলিশ। শুক্রবার এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় জলপাইগুড়ি শহরের পাহাড়িপাড়ায়। ঘটনার প্রতিবাদে বাড়ির সামনেই অবস্থান শুরু করেন সাংসদ। ঘটনায় পুলিশের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
শিলিগুড়িতে কোয়ারেন্টাইন শেষ করে বৃহস্পতিবারই চুপিসাড়ে জলপাইগুড়ি ফিরেছেন জয়ন্তবাবু। শুক্রবার সকালে সাইকেল নিয়ে রোগী দেখতে বেরোন তিনি। অভিযোগ, বাড়ির সামনেই তাঁর পথ আটকান পুলিশকর্মীরা। সাংসদের দাবি, এক রোগীর অবস্থা খারাপ জেনে তাঁকে দেখতে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়।
এর পর বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ উগরে দেন চিকিৎসক জয়ন্ত রায়। তিনি বলেন, ‘আমি সাংসদ হতে পারি, কিন্তু সবার আগে আমি একজন চিকিৎসক। আর এই চিকিৎসকের সার্টিফিকেট আমাকে রাজ্য সরকার দেয়নি।’ জয়ন্তবাবু জানান, রোগীর প্রয়োজনে তাঁর পাশে দাঁড়ানো চিকিৎসকের প্রাথমিক কর্তব্য। তাঁকে সেই কর্তব্যও পালন করতে দিচ্ছে না প্রশাসন। গোটা ঘটনা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনকে জানাবেন জয়ন্তবাবু।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর ফের বাড়ি থেকে বেরনোর চেষ্টা করেন জয়ন্ত রায়। কিন্তু ফের তাঁকে আটকান পুলিশকর্মীরা। এর পর বাড়ির সামনেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তিনি।
তবে এবারই প্রথম নয়, গত ১৬ এপ্রিল ডাবগ্রাম থেকে ফেরার সময় সাংসদকে আটকায় পুলিশ। তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে জানানো হয় প্রশাসনের তরফে। সাংসদকে শিলিগুড়িতে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। গত ৩ মে তাঁর কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে নিজের শহরে ফেরেন তিনি।
এদিনের ঘটনা নিয়ে জেলা পুলিশ কর্তারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তবে পালটা সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, করোনা মোকাবিলার বদলে বিজেপিকে রুখতে ব্যস্ত তৃণমূল কংগ্রেস ও তাদের পরিচালিত সরকার। তাই বার বার বিজেপি সাংসদদের রুখছে পুলিশ। কখনো জন বারলা, কখনও অর্জুন সিং, কখনও সুকান্ত মজুমদার আবার কখনও চিকিৎসক জয়ন্ত রায়কে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে এর মধ্যে টুইটও করেছেন রাজ্যপাল।