এসএসসি দুর্নীতি, গরুপাচার কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তারই মধ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়ল বীরভূমের দুবরাজপুরের যশপুর গ্রামে। এই পোষ্টারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষদের নাম করে তাদের সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে এই পোস্টারে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি নাম করে পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘তার ৮০ লক্ষ টাকার বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে, চারটি পুকুর রয়েছে, ২৭ লক্ষ টাকার আম বাগান এবং ১৭ বিঘা নতুন জমি রয়েছে।’ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পরিমল সৌয়ের নাম করে লেখা রয়েছে, ‘তার বাড়ি ভর্তি সোনা এবং গোলা ভর্তি টাকা রয়েছে।’ পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি থেকে এই সমস্ত টাকা নয়ছয় করা হয়েছে বলে পোস্টারে অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি পোস্টারে দাবি জানানো হয়েছে, এই সমস্ত নেতারা নিচু তলার তৃণমূলের কর্মীদের গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
পোষ্টারে ভাষার ব্যবহার দেখে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বহিপ্রকাশ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখার্জির দাবি, ‘ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে কেউ কেউ। এদিকে, যশপুরের পাশাপাশি কান্তার, পছিয়ারা-সহ একাধিক গ্রামে ওই পোস্টার দেখা যায়। যদিও তা জানাজানি হওয়ার পরই পোস্টারগুলি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। পোস্টারে নাম থাকা পরিমল সৌ অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি ব্লক নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, ‘তৃণমূল নেতাদের নামে যে পোস্টার পড়েছে আমার জানা নেই তা কারা দিয়েছে। তবে এর জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাই দাই। তারা মানুষকে প্রতারণা করেছে। মানুষ গরিব থেকে গিয়েছে। আর নেতারা বড়োলোক হয়েছে৷’ যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের যে সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।