হাওড়ার বালি বিধানসভা এলাকায় গঙ্গার পাড় ঘিরে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল। নিয়ম না মেনে সেই কাজ হচ্ছে অভিযোগ তুলে সেখানে হানা দেন স্থানীয় তৃণমূলকর্মী বিশ্বজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবাদও করেন। ছবি তোলার পাশাপাশি নির্মীয়মান ওই বহুতলে কর্মরতদের কাজে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল, কিন্তু এর পর এক ফোনেই রাজ্যে জুড়ে বিতর্ক ছড়িয়ে গেল।
বিশ্বজয় ঘটনাস্থল থেকে ফোন করেন ওই বহুতলের প্রমোটার মহেশ সুরাখাকে। তাঁকে ফোনে হুমকি দেন বলে অভিযোগে ওই প্রমোটারের। সেই পুরো কথপোকথন রেকর্ড করেন মহেশ। আর তাতে শোনা গেছে ওই তৃণমূল কর্মীর বেপরোয়া হুমকি— ‘আমার নাম শুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চমকে ওঠেন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও মুকুল রায়েরা আমার কথায় তিড়িং করে চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন! আমি কী করতে পারি, দেখিয়ে দেব।’ হ্যাঁ, ঠিক এই ভাষাতেই তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন ওই প্রমোটার। তিনি বালি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া জানান, নিয়ম না মেনে গঙ্গার পাড় বুজিয়ে বহুতল নির্মাণ করছেন মহেশ সুরাখা নামে ওই প্রোমোটর। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফ থেকে আগও তাঁর কাছে অভিযোগ এসেছে। এর প্রতিবাদও করেছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাপারে কে কী বলেছেন, সেটা তাঁরা জানা নেই বলেই জানিয়েছেন ওই তৃণমূল বিধায়ক।
এদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা বিশ্বজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘নিয়ম লঙ্ঘন করে বহুতল নির্মাণ হচ্ছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যাই। প্রতিবাদ করি। কয়েকটা ছবিও তুলে রেখেছি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী, মুকুল রায় বা মদন মিত্রে ব্যাপারে কিছুই বলিনি।’