কোচবিহারে শিক্ষিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা নুর আলম হোসেনকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই ঘটনায় আগেই তাঁকে শো-কজ করেছিল দল। সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে নুর আলম হোসনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন।
সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলে জেলার কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়। সেখানে বিনয়কৃষ্ণবাবু বলেন, ‘গত ৯ মে অভিযুক্ত নুর আলম হোসেনকে শো-কজ করেছিল দল। সেই শো-কজের কোনও জবাব মেলেনি। ফলে তাঁকে বহিষ্কার করা ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা ছিল না দলের কাছে। শিক্ষিকার দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় নির্দোষ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে দলের সমস্ত পদ থেকে বহিষ্কার করা হল।‘
গত ৫ মে দিনহাটার এক শিক্ষিকা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা নুর আলম হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। দিন কয়েকের মধ্যে শিক্ষিকার পরিবারের বিরুদ্ধে পালটা মারধরের মামলা দায়ের করেন নুর আলম হোসেনের স্ত্রী। এর পরই নুর আলম হোসেনকে শো কজ করে জেলা তৃণমূল। চিঠির জবাব না দিলেও সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা।
ওদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার না করায় সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসেরই। তাদের দাবি, এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এমনিতেই লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে তৃণমূলের হাল খারাপ হয়ে গিয়েছে। তার ওপরে এই ধরণের ঘটনায় অভিযুক্ত দলীয় প্রশ্রয় পেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে অনুমান শাসকদলের ওই নেতাদের।
এই ঘটনায় মুখর হয়েছে বিজেপিও। নুর আলমের বহিষ্কারকে নাটক বলে দাবি করেছে তারা। বিজেপি নেচা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, ‘তৃণমূল যদি সত্যিই ব্যবস্থা নিতে চাইত তাহলে আগে অভিযুক্তকে জেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করাত।’