আগেও ‘হীরক রাজার দেশ’-এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের তুলনা করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এবার সেই তুলনার মাত্রা আরও বাড়ল। মন্ত্য করলেন, হীরক রাজার দেশ’-এ যা দেখিয়েছিলেন, তা একদিন পশ্চিমবঙ্গে হবে, সেই বিষয়টি নিশ্চয়ই পছন্দ করতেন না সত্যজিৎ রায়।
আরও পড়ুন : একদিনে রেকর্ড ৫৫,০০০ আক্রান্ত, ‘হার্ড ইমিউনিটি’ নয়, করোনা রুখতে ভরসা টিকা
রাজভবনে নিজের এক বছর পূর্ণ হওয়ার দিনে ইউটিউবে প্রথম ভিডিয়ো আপলোড করেন ধনখড়। তাতে সেই ভিডিয়োয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, লোকসভার স্পিকার, ভারতীয় এবং বিদেশি অতিথি এবং বিভিন্ন জায়গায় নিজের সফরের ছবি দেখানো হয়। সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর এবং ধনখড়ের ভয়েসওভার ভেসে আসছিল।
আরও পড়ুন : '১,০০০ কোটির পর আমফানের জন্য এক পয়সাও দেয়নি কেন্দ্র', ক্ষোভ মমতার
ভিডিয়োয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ধনখড় এবং তাঁর স্ত্রী'র কয়েকটি ছবি ছিল। যদিও টুইটারে যে ঢঙে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানান, ইউটিউটব ভিডিয়োতেও তার ব্যতিক্রম করেননি ধনখড়। পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মানুষের প্রশংসার পর তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের কয়েকটি বিষয় উদ্বেগের কারণ। পুলিশি সুরক্ষার আড়ালে হিংসা, দুর্নীতি, কর্তৃত্ববাদ এবং গুন্ডাগিরি প্রশাসনের অঙ্গে পরিণত হয়েছে। আমি নিশ্চিত, সত্যজিৎ রায় কখনও পছন্দ করতেন না যে তিনি যা সিনেমায় (হীরক রাজার দেশে) দেখিয়েছেন, তা বাস্তবে পশ্চিমবঙ্গে কোনওদিন হবে।’
আরও পড়ুন : কেন্দ্রের নির্দেশের পর দিল্লির বাড়ি ছেড়ে দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
তবে সেখানেই থামেননি ধনখড়। পশ্চিমবঙ্গে ‘প্রকৃত’ ও 'গণতান্ত্রিক' সরকারের জন্য তিনি যে ‘অবিরামভাবে’ কাজ করে চলেছেন, তাও জানান রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের গুরুতর অধঃপতন এটা। মহিলাদের অধিকারের সঙ্গে আপস করা হচ্ছে। পুলিশি অভিযানের ভয় ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এইসবের জেরে বাণিজ্য-শিল্প, শিক্ষা এবং পরিষেবা ক্ষেত্রের পতন হয়েছে। আমাদের যুবপ্রজন্ম এবং লোকবলের দুর্দশা ভয়ানক এবং তা আটকানোর প্রয়োজন আছে।' একইসঙ্গে খনখড় অভিযোগ করেন, তৃণমূলস্তরে প্রশাসনের সঠিক ছবি তুলে ধরছে না সংবাদমাধ্যম। ভুয়ো ছবি তুলে ধরা হচ্ছে। যে সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রিত করা হয়।