রং তো দূরের কথা। জানলা দরজার কাজও অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এরমধ্যেই গত ১৫ বছর ধরে পঠন পাঠন চলছে নদিয়ার শান্তিপুরের গয়েশপুর পঞ্চায়েত এলাকায় তিতুমীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। কিন্তু স্কুলের উন্নয়নের কাজ এক ফোঁটাও এগোয়নি। কেন যে স্কুলের উন্নয়নের কোনও কাজ হচ্ছে না, সেই বিষয়টি জানা নেই স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরও।
জানা গিয়েছে, ২০০৭ সাল থেকে তিতুমীর প্রাথমিক বিদ্যালয় অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্কুল তৈরির কাজ শেষ হয়নি। বিদ্যালয়ে শুধু ইটের গাঁথনিই উঠেছে। সিমেন্টের প্রকেপও পড়েনি। রং তো দূরের কথা। পাশাপাশি জানলা দরজাও অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই অসমাপ্ত অবস্থাতেই বছরের পর বছর ধরে ক্লাস চলছে স্কুলটি। স্কুলটি গয়েশপুর পঞ্চায়েত এলাকায় হিজুলি মুসলিম পাড়া এলাকায়। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই তাঁদের ছেলেমেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য এই স্কুলের ওপরই নির্ভর করে থাকেন। কিন্তু স্কুলটি যেভাবে পড়ে রয়েছে, তাতে অভিভাবকরা অনেকেই ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভরসা পাচ্ছেন না।
এই প্রসঙ্গে গ্রামেরই এক বাসিন্দা জানান, ‘স্কুলটি যেভাবে পড়ে রয়েছে, তাতে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভরসা পাই না। কী অবস্থায় পড়ে রয়েছে দেখতেই পাচ্ছেন। স্কুলের পাশে জলাভূমি। ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে সবসময় ভয় ভয় থাকি। যদি কিছু দুর্ঘটনা ঘটে যায়।’ স্কুলের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার দাস জানান, ‘আমরা ডি আই অফিসে, এস আই অফিসে সব কাগজ জমা দিয়েছি। ঘরের ম্যাপ করে দিয়েছি। শুনেছিলাম টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি।’ শান্তিপুর সার্কেলের এস আই বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, ‘আমি দায়িত্বে আসার পরই স্কুলের সংস্কারের জন্য কাগজপত্র পাঠিয়েছি। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।’