রথের দিন মাছধরা নিয়ে বিবাদের জেরে বিজেপির মারে ‘মাথা ফাটল’ তৃণমূল নেতা শিবঠাকুর মণ্ডলের। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের হুমকির অভিযোগ করে রাতারাতি বিখ্যাত হয়েছিলেন তৃণমূলের এই নেতা। তার পর রাতারাতি তাঁকে বহিষ্কার করে দল। যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনে শিবঠাকুরের স্ত্রীকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল।
রথের দিন সকালে বীরভূমের দুবরাজপুরের বালিজুড়ি পঞ্চায়েতে মণ্ডল পরিবারের পুকুরে মাছ ধরা চলছিল। ছিলেন শিবঠাকুরের কাকা তথা পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী দীপক মণ্ডল। অভিযোগ, তিনি বিজেপি কর্মীদের মাছ ভাগ করে দিচ্ছিলেন। তখন প্রতিবাদ করেন শিবঠাকুর। এর পরই বিজেপির হাতে আক্রান্ত হন তিনি।
দীপকবাবুর পালটা দাবি, শিবঠাকুরের স্ত্রী লিপিকা মণ্ডলকে তৃণমূল প্রার্থী করেছে। তাই আমাদের বাড়িতে এসে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিচ্ছিল শিবঠাকুর মণ্ডল। বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে। তখন পরিবার ও দলের সদস্যরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে পিছু হঠে সে। এই ঘটনার কথা জানিয়ে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিবঠাকুর।
গত বছর ডিসেম্বর আসানসোল জেল থেকে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে ইডির তোড়জোড়র মধ্যেই দুবরাজপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে হুমকি ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শিবঠাকুর মণ্ডল। এর পর ইডি জেলে পৌঁছনোর আগেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করে জেল থেকে দুবরাজপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। যার জেরে প্রায় ৩ মাস পিছিয়ে যায় অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা।
বিজেপির দাবি, নাটক করতে পটু শিবঠাকুর মণ্ডল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে সেরকমই একটি নাটক সাজাচ্ছেন তিনি। তাঁকে কেউ মারধর করেনি।