টেস্টে ফেল শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলের প্রায় দেড়শো ছাত্রীর। আর এরপরই পাস করানোর দাবিতে স্কুলের সামনে ধরনায় বসলেন তারা। তাদের অভিযোগ দিদিমণিরা কিচ্ছু পড়াননি। আমাদের কিছু করার নেই। অন্য়দিকে শিক্ষিকার পালটা অভিযোগ, মোবাইলে একেবারে বুঁদ হয়ে আছে ছাত্রীরা। একটুও পড়ছে না।
এদিন ছাত্রীদের অভিভাবকরাও স্কুলের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। বিক্ষোভকারী পাসের দাবিতে রীতিমতো স্লোগান তুলতে শুরু করেন। এক ছাত্রী বলেন, আমরা সকলেই দশম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে কোনও পড়াশোনা করায়নি। দুবছর স্কুল বন্ধ ছিল। তখনও কিছু হয়নি। আমরাই কিছু জানি না। কিছুই পারি না। কিছুই শেখায়নি স্কুল।আমাদের হঠাৎ করে পরীক্ষা নেওয়া হল। আমাদের টেস্টে ফেল করানো হয়েছে। আমাদের পাস করাতে হবে।
এদিকে স্কুলের শিক্ষিকাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে সরস্বতী পুজোর পর থেকে বার বার ছাত্রীদের বলা হয়েছে ভালো করে পড়াশোনা করো। কিন্তু সবসময় মোবাইলে মেতে রয়েছে। মনটাই উঠে গিয়েছে। আমরা মোবাইল রুখতে গিয়ে পাগল হয়ে যাচ্ছি। গার্লস হাই স্কুলের ঐতিহ্য ছিল এখানকার ছাত্রীরা মনোযোগ দিয়ে পড়ত। সেটাই করছে না ওরা। স্কুলেই আসছে না ছাত্রীরা। অভিভাবকদের বার বার ডাকা হয়েছে স্কুলে। কিন্তু তাঁদের অনেকেও আসছেন না। বাড়িতে গিয়ে ছাত্রীরা বলছে অনলাইনে ক্লাস হবে নেট ভরে দাও। মোবাইল অনেকাংশ দায়ী। গার্জেনরাও সচেতন নন। দিনের পর দিন ধরে ছাত্রীদের অনেকে ক্লাসেই আসে না। ইনক্লাব জিন্দাবাদ করলে কি পাস করতে পারবে? ২,৩,৪ নম্বর পেয়েছে। তাদের অ্যালাও করিয়ে দিলে তারা কি রাতারাতি উন্নতি করতে পারবে? প্রশ্ন শিক্ষিকার।