বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > JU Student Death: হাসপাতালের নাম ছেলের নামে না হলে চাকরি করবেন না যাদবপুরের মৃত ছাত্রের মা

JU Student Death: হাসপাতালের নাম ছেলের নামে না হলে চাকরি করবেন না যাদবপুরের মৃত ছাত্রের মা

বগুলা গ্রামীণ হাসপাতাল

মুখ্যমন্ত্রী যাদবপুরে মৃত পড়ুয়ার মাকে আশ্বাস দেন বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নাম তাঁর ছেলের নামে হবে। সেই মতো বুধবার বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নাম ‘স্বপ্নদীপ গ্রামীণ হাসপাতাল’ হওয়ার কথা ছিল আনুষ্ঠানিক ভাবে। ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল হাসপাতাল চত্বর। 

হাসপাতালের নাম ছেলের নামে না হলে তিনি চাকরি করবেন না। পুলিশি নিরাপত্তায় চাকরিতে যোগ দিয়ে জানিয়ে দিলেন যাদবপুরে মৃত ছাত্রের মা। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন তিনি। পরে বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরে গিয়ে কাজে যোগ দেন। তার পর তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, 'হাসপাতালের নাম ছেলের নামে না হলে কাজে যোগ দেব কিনা ভেবে দেখব।'

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী যাদবপুরে মৃত পড়ুয়ার মাকে আশ্বাস দেন বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নাম তাঁর ছেলের নামে হবে। সেই মতো বুধবার বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নাম ‘স্বপ্নদীপ গ্রামীণ হাসপাতাল’ হওয়ার কথা ছিল আনুষ্ঠানিক ভাবে। ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল হাসপাতাল চত্বর। কিন্তু মৃত ছাত্রের পরিবার সেখানে পৌঁছতেই স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। মায়ের সামনেই গোবর লেপে মুছে দেওয়া হয় ছেলের নাম। সেই দৃশ্য দেখে জ্ঞান হারান তিনি। তাঁদের উদ্দেশে গালি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এই ঘটনার পর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মৃত ছাত্রের পরিবার। বাবার দাবি তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছে। হাসপাতাল 'অ্যাটেডেন্টর' পদে যোগ দিতে গিয়েও ফিরে আসেন। ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, 'ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের উস্কানিতেই স্থানীয় সুবিধাবাদী লোক হাসপাতালের নামকরণ করতে দিচ্ছে না।' যদিও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সংবাদমাধ্যমের কাছে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

(পড়তে পারেন। সব প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি, যাদবপুরে সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি)

এদিন প্রথমে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে যা মৃত পড়ুয়ার মা। সেখানে তিনি বগুলা হাসপাতালে ‘অ্যাটেনডেন্ট’ পদে কাজে যোগ দেন।

মৃত ছাত্রের বাবা বলেন,'মহকুমাশাসক কথা দিয়েছেন। দিদির উপর আমাদের আস্থা রয়েছে।' তবে বুধবার যেভাবে তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছে তা কিছুতেই মানতে পারছেন না মৃত ছাত্রের মা।

বন্ধ করুন