পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিহারে পাচার হচ্ছে মদ। সম্প্রতি গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে গয়া এক্সপ্রেসে যাত্রী সেজে তল্লাশি চালায় আরপিএফ। তল্লাশি চালিয়েই তিন কিশোরকে আটক করল আরপিএফ। আর তাদের জেরা করতেই বেরিয়ে আসল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বিহারে যেহেতু মদ নিষিদ্ধ, তাই বাংলা থেকে বিহারে মদ পাচারের জন্য বাংলার তরুণ প্রজন্মের কিশোরদের ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। এই তথ্য হাতে পেতেই এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করতে উঠেপড়ে তদন্তে নামে আরপিএফ। আরপিএফ জানিয়েছে, ৩৩০ বিলিতি মদের বোতল নিয়ে তারা বিহারের উদ্দেশে যাচ্ছিল। এই পরিমাণ মদের বাজার দর প্রায় ৪৬ হাজার টাকা। হাওড়া স্টেশনে কড়া চেকিংয়ের ব্যবস্থা থাকে। তাই আরপিএফ এর নজর এড়াতে তারা ওই এক্সপ্রেসে উঠেছিল মুরারই স্টেশন থেকে।
আরপিএফের কাছে আগেই এই খবর ছিল। তাই পাচারকারীদের ধরতে ক্রেতা সেজে সোমবার রামপুরহাট স্টেশনে টহল দিচ্ছিলেন আরপিএফের হাওড়ার অপরাধ দমন শাখার চার কর্মী। ওই কিশোরদের দেখে সন্দেহ হতেই প্রথমে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তারা পালানোর চেষ্টা করলেই অবশেষে আরপিএফ কর্মীরা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন আরপিএফ কর্মীরা। সোমবার গভীর রাতে তাদের আটক করে আরপিএফ।
ছ'টি ব্যাগে করে ওই পরিমাণ মদ তারা বিহারে নিয়ে যাচ্ছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরপিএফ জানতে পেরেছে, ওই মদ বিহারে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের ৩,০০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল। আরপিএফের মতে, টাকা পাওয়ার লোভে বাংলার অনেক কিশোরই এই কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। আরও কারা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে আরপিএফ। অন্যদিকে, গয়া এক্সপ্রেস ছাড়া জামালপুর সুপার ও বনাঞ্চল একপ্রেসে মদ পাচার হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। এর পাশাপাশি মালগাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে কয়লাও চুরি হচ্ছে। যার সঙ্গে মহিলারাই বেশি জড়িত বলে জানাচ্ছে আরপিএফ।