দলীয় বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হলেন তৃণমূল নেতা। রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীদের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি। ধারালো অস্ত্রের কোপে ওই তৃণমূল নেতার নাক-ঠোঁট কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নেতাকে উদ্ধার করে মালদহ সদর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। অভিযোগের তির বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। অবশ্য এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের পুখুড়িয়ার মাগুর এলাকায়।
ঘটনায়, তৃণমূলের তরফে পুখুড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ওই তৃণমূল নেতার নাম এমদালুল হক। তিনি রতুয়া ব্লকের শ্রীপুরের তৃণমূলের সহ-সভাপতি। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে অভিযোগকারী পরিবার জানিয়েছে, মুখ ঢাকা থাকায় দুষ্কৃতীদের চিনতে পারেননি ওই তৃণমূল নেতা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, আক্রান্ত তৃণমূল নেতার আঘাত গুরুতর। ধারালো অস্ত্রের কোপে তাঁর ঠোঁটের সিংহভাগ কেটে গিয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণও হয়েছে। জরুরি অস্ত্রোপচার করলেও তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
আহত তৃণমূল নেতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় রাত ১২টা নাগাদ নিজের বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন এমদালুল। অভিযোগ উঠছে, ফেরার পথে ৬-৭ জন দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকে দেয়। কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রথমে তাঁকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। এরপর সঙ্গে থাকা ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে এমদালুলকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। হাঁসুয়ার কোপে তাঁর ঠোঁট ও নাক কেটে যায় বলে অভিযোগ। ওই নেতা চিৎকার শুরু করতেই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অচৈতন্য হয়ে যান এমদালুল। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করার ব্যবস্থা করেন।
আক্রান্ত তৃণমূল নেতার স্ত্রী আসমা বিবি জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী যেহেতু তৃণমূল করেন, সেজন্য তাঁর উপর আক্রমণ করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে খুনের পরিকল্পনাই করেছিল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি।