বিজেপিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক সভা করছেন। আর সেখান থেকে করছেন বিস্ফোরক মন্তব্য। যা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। জনগণের সামনে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করছেন। তবে মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে ঢুকতে গিয়েই বাধার মুখে পড়েছেন তিনি ও তাঁর দল বিজেপি বলে খবর।
গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর ঝাড়গ্রামে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি বলেন, ‘ঝাড়গ্রাম আর পুরুলিয়া জেলা পরিষদে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। রাতের অন্ধকারে পুলিশ নিয়ে গিয়ে গণনায় হারানো হয়েছিল’। এই দাবির পাশাপাশি তিনি নিজে সাক্ষী ছিলেন বলেও জানিয়েছেন। এই মন্তব্য থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এই বিতর্ক উস্কে দিয়ে তিনি দাবি করেন, ‘ঝাড়গ্রাম জেলায় যে চারটে বিধানসভা আছে সেখানের প্রতিটিতে প্রায় ৫০,০০০-এর বেশি ভোটে জিতবে বিজেপি। আমি এসেছি মার্জিন বাড়ানোর জন্য, জেতার জন্য নয়, জেতার জন্য এরাই কাফি।’ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, ৩৫টি আসনের ৩৫টিতে গোহারা হারাবেন তৃণমূলকে।
শুভেন্দু অধিকারী আসার সময় রাস্তায় ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মামুনি মুর্মু–সহ তৃণমূলের কর্মীরা ঝাড়গ্রামের গাডরো মোড়ে বিক্ষোভ দেখায়। শুভেন্দু বলেন, ‘আমি দেখেছি পাঁচজন ছিল। তার মধ্যে দু’জনকে আমি চিনি, নমস্কার করেছি, তারা আমাকে দেখে মাথাটা নামিয়ে নিয়েছে, ভালো লেগেছে।’
উল্লেখ্য, রবিবার দাঁতনে শুভেন্দু জানান, এরপরও কীভাবে তাঁকে যুব তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। বদলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই পদে আনা হল। বিজেপিতে যোগ দিয়েই ‘তোলাবাজ ভাইপো’ হাটাওয়ের ডাক দেন শুভেন্দু।
আগামিদিনেও যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁর নিশানায় থাকবে সেটাও সেদিনই কার্যত বুঝিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন রোড–শোয়ের শুরু’র থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোকেই আক্রমণ শানান। ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে ফের একবার সুর চড়ান তিনি। তাঁর সঙ্গেই সুর মেলান কয়েকশো বিজেপি কর্মী। তবে এতদিন ধরে যাঁদের নিয়ে এই নন্দীগ্রামে রাজনীতি করেছেন শুভেন্দু, সেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরাই এবার পথ আটকেছেন শুভেন্দু ও বিজেপি’র বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।