বোমাবাজি, সঙ্ঘর্ষে ফের উত্তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় ১৪ বছরের এক নাবালক–সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত শেখ নাসির আলি (৩৭) ও শেখ মাজহার (১৪) রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে সমর্থনকারী এক পরিবারের সদস্য। নাসিরের পরিবার জানিয়েছে, মুম্বইয়ে কাজ করতেন তিনি। লকডাউন চলাকালীন বাড়ি ফিরেছিলেন।
নাসিরের ভাই শেখ সেলিম বলেন, ‘শেখ আখতার নামে এক ব্যক্তি হামলা চালায়। যদিও তার টার্গেট ছিলাম আমি। কারণ, এলাকায় রাস্তা তৈরি নিয়ে দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকায় আখতারের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম।’ তৃণমূলের দখলে থাকা স্থানীয় দামোদরচক গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য সেলিম বলেন, ‘শেখ আখতার তৃণমূল সমর্থক হলেও বিজেপি–র সঙ্গে তার ওঠাবসা আছে।’
বিজেপি–র ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য পরিষ্কার জানিয়েছেন, শেখ আখতার তাঁদের দলের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নয়। তিনি এদিন বলেন, ‘কেশপুরের ঘটনাটা তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সঙ্ঘর্ষের জেরে হয়েছে। আমি এরইমধ্যে কেশপুরে গিয়েছি। নিজের চোখে রাস্তায় তাজা বোমা দেখেছি। ওই এলাকা দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। এই হানাহানির জেরে যে কটা মানুষের প্রাণ গিয়েছে তার জবাব দিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে।’
কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, ‘যারা বোমাবাজি করে এবং মানুষকে খুন করে তারা কখনওই তৃণমূলের অংশ হতে পারে না। অভিযুক্তদের পেছনে যেই থাকুক না কেন তাদের ছেড়ে কথা বলা হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।’ কেশপুর থানার এক আধিকারিক জানান, ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শুক্রবার মেদিনীপুর শহরের একটি বাড়িতে এক অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশ গিয়েছিল। কিন্তু তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, বোমার স্প্লিন্টারে গুরুতর জখম হয়েছেন তিনজন। তার মধ্যে এক নাবালিকা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।