বিতর্কের মুখে ভুলে ভরা মেধাতালিকা প্রত্যাহার করল বিশ্বভারতী। মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই তালিকায় দেখা যায় ১০০-র মধ্যে কেউ পেয়েছেন ১৯৮, কেউ আবার ২০০। তার পরই বিভ্রান্তি ছড়ায় পড়ুয়াদের মধ্যে। বুধবার ওয়েবসাইট থেকে ওই মেধাতালিকা প্রত্যাহার করে জানানো হয়েছে ভবিষ্যতে ফের প্রকাশিত হবে তালিকা।
মঙ্গলবার প্রকাশিত হয় বিশ্বভারতীক এমএডের মেধাতালিকা। তাতে দেখা যায় ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অনেকেই পেয়েছেন ২০০ বা ৩০০, বা তারও বেশি। বিশ্বভারতীতে এমএডের ৫০টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষিত। গত ১৪ সেপ্টেম্বর অনলাইনে হয় এই পরীক্ষা।
পরীক্ষার ফল দেখে হতবাক হয়ে যান অনেক পড়ুয়া। অনেকে ভাবেন, তাঁদেরই বোধ হয় জানার কোনও ভুল হয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই স্পষ্ট হয় চিত্র। জানা যায়, পরীক্ষার্থীরা নন, ভুল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়েরই।
বিতর্কের জেরে বুধবার ওয়েবসাইট থেকে তালিকা প্রত্যাহার করে নেয় কর্তৃপক্ষ। তাতে পড়ুয়াদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফেরে। সঙ্গে জানানো হয়েছে আগামীতে ফের প্রকাশিত হবে এই তালিকা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কার গাফিলতিতে এহেন মহাভুল? এই ধরণের ভুলে কি রবীন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠিত শতাব্দীপ্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিমা বাড়ে?