আরামবাগে আজ সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান ও প্রশাসনিক বৈঠকের মাঝে মুখ্যসচিবকে ধমক মুখ্যমন্ত্রীর। কারণ তখন মঞ্চে বসে ফোনে কিছু করছিলেন বিপি গোপালিকা। কথা বলার ফাঁকে সেটা দেখতে পেয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত ধমক দেন তাঁকে। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই আবার বক্তব্য শুরু করেন। আজ, সোমবার আরামবাগে প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল নিয়োগের ঘোষণা করলেন। তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিরোধীদের একহাত নিলেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা বড় ঘোষণা বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী, শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার সহ অনেকে। আরামবাগে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান ও প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই আমজনতার কাছে রাজ্যের জনমুখী প্রকল্পগুলির কথা তুলে ধরেন তিনি। চলতি বছরে বাজেটে নতুন যে প্রকল্পগুলির কথা ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলিও তুলে ধরেন তিনি। তখনই কেন্দ্রীয় সরকারের বকেয়া নিয়ে মুখ্যসচিবকে একটি প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর পিছন ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখেন বিপি গোপালিকা ফোন দেখছেন। তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধমক, ‘এই দেখো এখন ফোন দেখছে।’
অন্যদিকে এই ধমক খেয়েই তথ্য তুলে দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর প্রায় ৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জট ছেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘সব মিলিয়ে সরকারি চাকরিতে ৫ লক্ষ নিয়োগ হবে। বাংলার জন্য সব বন্ধ। রাজ্য পুলিশে ১২ হাজার কনস্টেবল নিয়োগের ব্যাপারে মন্ত্রিসভা নীতিগত সম্মতি দিয়েছে। সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থির হয়েছে যে পঞ্চায়েত স্তরে প্রায় ৬ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। আর রাজ্যের ফায়ার সার্ভিসেও প্রচুর নিয়োগ হবে।’ এই বিপুল পরিমাণ নিয়োগ হলে রাজ্যের বেকার ছেলেমেয়েরা চাকরি পাবেন। তাতে বিপাকে পড়বেন বিরোধীরা। কারণ চাকরি হলে ভোটবাক্সে তার প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘পাঁচ লক্ষ সরকারি চাকরিতে নিয়োগ হবে’, আরামবাগ থেকে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা এবং বিজেপির রাজনীতি নিয়ে মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৫৫টি টিম পাঠিয়েছে। তারা গিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে সব ঠিক আছে। তারপরও বকেয়া টাকা দেয়নি। বাংলার জন্য সব বন্ধ করে রেখেছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা, রাস্তার টাকা, আবাসের টাকা এমনকী স্বাস্থ্য মিশনের টাকাও আটকে রেখেছে। তবে আমরা মিড ডে মিলের রাঁধুনিদের জন্য ৫০০ টাকা বাড়িয়েছি। তাঁরা মাসে পাবেন ২০০০ টাকা। গঙ্গাসাগরের উপর সেতু করবে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের উপর নির্ভর করে নয়। অনেকদিন অপেক্ষা করা হয়েছে। ৬টি ইকোনমি করিডর করছি। দিদিকে আবদার করবেন দিদি সব দেবে।’