রবিবার দাঁতনে সাড়ে ৩ কিলোমিটার পথ জুড়ে রোড শো করতে করতে নেমে আসে বিকেল। তার পর ছিল জনসভা। তবুও শীতের সন্ধেয় শুভেন্দু অধিকারীর সভা ছেড়ে একচুলো নড়লেন না বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। এদিন রোড শো–তেও রীতিমতো জনজোয়ার দেখা দেয়। সে ব্যাপারে এদিন বিরোধীদের উদ্দেশে শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘এ তো সবে ট্রেলার, সিনেমা এখনও বাকি।’
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে শাসকদলকে সাবধান করে শুভেন্দু বলেন, ‘ভোট এবারে হবে। রাজ্য পুলিশে হবে না। সিআরপিএফ ভোট করবে। নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু হতে দিন।’ তৃণমূলকে এদিন ‘ছিন্নমূল’ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। বিজেপি নেতা শুভেন্দু বলেন, ‘২৩ মে জিতে দেশে ফের ক্ষমতায় আসে বিজেপি, সেদিন তৃণমূলের বড় বড় নেতারা মোবাইলের সুইচ অফ করে রেখেছিলেন। তালা দিয়ে রেখেছিলেন পার্টি অফিসে। এদের অক্সিজেন দিয়ে যে ঘর থেকে বের করে এনেছিল তাকেই এখন বিশ্বাসঘাতক বলছে ওরা।’
সৌগত রায় হোক বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দল ছাড়ার পর শুভেন্দু অধিকারীকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে আক্রমমণ করেছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা। তার জবাবে এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘আমি একে একে মন্ত্রীত্ব, বিধায়ক পদ আর পরে তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সাধারণ ভোটার হয়েছি। একজন সাধারণ ভোটার যে কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারে।’
শুভেন্দুর কথায়, ‘তৃণমূল ভবনে বসে তৃণমূলের এক সাংসদ বলছেন, মেদিনীপুরে নাকি বিশ্বাসঘাতকদের জন্মগ্রহণ হয়। আমি বলি, বর্ণপরিচয়ের শ্রষ্টা বিদ্যাসাগরের জন্ম হয় এখানে। তিনি বর্ণপরিচয় না বের করলে নিজের নাম পরিবারের নাম লিখতে পারতেন না। মেদিনীপুরে ক্ষুদিরাম বাসু, মাতঙ্গিনী হাজরারা জন্মায়।’ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে এদিন রোড–শোতেই শুভেন্দু স্লোগান তোলেন, ‘তোলাবাজ ভাইপো হঠাও, আমফানের টাকা চোর হঠাও, একশো দিনের টাকা চোর হঠাও, প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার কাটমানিখোর হঠাও।’