লকডাউনের রাজ্য ক্রমশ কামড় শক্ত করছে করোনাভাইরাস। আর মঙ্গলবার যে রিপোর্ট এসেছে তাতে তো রাতের ঘুম ছুটেছে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য কর্তাদের। জানা গিয়েছে, কলকাতার ২ ফুটবাসী ভিখারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ভিন দেশ তো দূরের কথা, কস্মিনকালে ভিনরাজ্যেও যাননি এঁরা। তাহলে সংক্রমণ হল কোথা থেকে? আর এদের থেকেই বা কারা সংক্রমিত হলেন? জানতে এখন কোমর বেঁধে নেমেছে স্বাস্থ্য দফতর।
জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের একজন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে আর অন্যজন এমআর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২ জনকে ফুটপাথ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। ২ ভিখারির মধ্যে প্রথম জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল গত ৩ এপ্রিল। মধ্য কলকাতার বউবাজার থানা এলাকার কবিরাজ রো থেকে ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে NRS হাসপাতালে ভর্তি করেন পুলিশকর্মীরা। সেখানে সোমবার করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট মিলেছে। এর পর ওই রোগীকে বেলেঘাটা আইডিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এছাড়া অন্য আক্রান্তের বয়স ৬০ বছর। তিনি মেটিয়াবুরুজ থানা এলাকার মিঠা তালাব এলাকার বাসিন্দা। গত ১ এপ্রিল তাঁকে গার্ডেনরিচ থানা এলাকার টুকরা পট্টি থেকে উদ্ধার করে নাদিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর করোনার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এর পর তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকরা।
কলকাতার ফুটপাথে করোনারোগীর খোঁজ মেলায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের কপালে। তবে কি শহরে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে? বিস্ফোরণের অপেক্ষায় বসে রয়েছে মহানগর? জানতে এই ২ ব্যক্তি কোথা থেকে আক্রান্ত হয়েছেন তা জানতে উঠেপড়ে লেগেছে স্বাস্থ্য দফতর। ওই ভিখারিরা কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। ভিখারিদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে কোয়ারেনটাইনে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে।