গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে কেন্দ্র–রাজ্য সংঘাত চরমে উঠেছিল। তার মধ্যে রাজ্যপালের মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সমালোচনা–সহ নানা বিষয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য থেকে জাতীয় রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে বুধবার খুব সংক্ষিপ্ত একটা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, ‘আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যাপটার ক্লোজড।’ এই মন্তব্য করার সঙ্গে সঙ্গে জোর চর্চা শুরু হয়ে যায়। তাহলে কী এবারও কেন্দ্রের মুখ পুড়ল?
মুখ্যমন্ত্রী আজ বলেন, ‘আলাপনবাবু সম্পর্কিত যাবতীয় ঘটনাপ্রবাহের ইতি পড়ে গিয়েছে।’ সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যসচিবের বদলি ঘিরে রাজ্য–কেন্দ্র সংঘাত যখন চরমে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যসচিব পদে অবসর নেওয়ার পরও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শো–কজ করেছে কেন্দ্র। এমনকী তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। আলাপনবাবুও জানিয়েছেন তিনি সঠিক সময়েই জবাব দেবেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে বদলির নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। আর তা নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় রাজ্য–রাজনীতি। মুখ্যসচিব পদে তিন মাসের জন্য আলাপনের মেয়াদ বাড়িয়েছিল রাজ্য সরকার। তারপরেই আচমকা বদলির নির্দেশে সব ওলটপালট হয়ে যা্য। রাজ্য–কেন্দ্রের মধ্যে চিঠি চালাচালি হয়। বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের জন্য শনিবারই অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন্দ্র নিজের সিদ্ধান্ত অনড় ছিল। এই টানাপড়েনের মধ্যে সোমবারই অবসর নিয়ে নেন আলাপনবাবু। তারপরেই তাঁকে মুখ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার হয়ে গেল চ্যাপ্টার ক্লোজ। তাহলে কী কেন্দ্র মেনে নিল রাজ্যের অনুরোধ? উঠছে প্রশ্ন।