রেশন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্য়মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তবে ইডি কিন্তু তাদের মতো করে তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর সেখানে যে ছবি উঠে আসছে তা ভয়াবহ। দেখা যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে রেশনের চাল চুরি হয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়ে যেন কারও কোনও হেলদোল নেই। কার্যত গা সওয়া হয়ে গিয়েছিল এই চাল চুরি!
কিন্তু এই সরকারি চাল চুরির বিষয়টি ঠিক কীভাবে হত? কিন্তু কেন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হত না? দাবি করা হচ্ছে গত ১২ বছর ধরে এই চাল চুরি নিয়ে অভিযোগ এসেছিল। একের পর এক অভিযোগ। কিন্তু তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কিন্তু কেন?
এই কারণটারই উৎসস্থলে পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে অভিযোগ করার পরে কেবলমাত্র ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে কেবমলাত্র বিজ্ঞপ্তি জারি করা হত। কিছু ক্ষেত্রে ছোটখাটো নির্দেশিকা জারি করা হত। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হত না। আর সেই সুযোগটাই নিত চাল চোররা।
প্রাথমিত তদন্তে উঠে এসেছে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটির চাল গম চুরি হয়েছিল। প্রায় ৪০০০ মেট্রিক টনের চাল চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। কিছুক্ষেত্রে খাদ্য দফতর ও ডিস্ট্রিবিউটরদের শোকজ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু চুরি আটকাতে কতটা আন্তরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু এই যে বছরের পর বছর ধরে চাল চুরি হল, ডিস্ট্রিবিউটরদের গুদাম থেকেই চুরি হয়ে গেল চাল, তারপরেও কেন চুপ করে হাত গুটিয়ে বসে থাকল খাদ্য দফতর?
সাধারণ মানুষের রেশন সামগ্রীতেও ভাগ বসাল চাল চোররা। কিন্তু মুখ বুজে দেখে গেল খাদ্য দফতর। অভিযোগ এমনটাই। নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একাধিক ঘটনা হয়েছিল বলে ইঙ্গিত মিলেছে। মূলত যেটা দেখা যাচ্ছেে ডিস্ট্রিবিউটরদের গুদামে যে চাল গম দেওয়া হয়েছিল তা আর রেশন দোকানে যায়নি। সেটা সরাসরি সেখান থেকে খোলা বাজারে চলে যায়।
তবে জ্য়োতিপ্রিয় অবশ্য় বার বারই বলেছেন তিনি নির্দোষ। তবে বিরোধীদের দাবি, কোন অঙ্কে এত বছর ঘুমিয়ে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সেটা জানা দরকার।