অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়াকে কে না চেনেন! গায়িকা পরিণীতির কথাও অনেকেই জানেন। এই পরিণীতি বড় পর্দায় পা রেখেছিলেন ২০১১ সালে ‘লেডিস ভার্সেস রিকি বেহল’ ছবির হাত ধরে। যদিও ছোট পর্দার হাত ধরে পরিণীতির ডেবিউ হয়ে গিয়েছিল বহু আগেই। সেটা ছিল ২০০৪ সাল। আর সেটা হয়েছিল দূরদর্শনের হাত ধরে।
পরিণীতি বয়স তখন অবশ্য মাত্র ১৫। সেসময় টেলিভিশন বলতে দূরদর্শনই একমাত্র টেলিভিশন ছিল। তখন দূরদর্শনের কোনও অনুষ্ঠানে সুযোগ পাওয়াও ছিল কঠিন। তবে কোনও সিরিয়াল বা নাটক নয়, দূরদর্শনের পর্দায় কিশোরী পরিণীতিকে গান গাইতে শোনা গিয়েছিল। পরিণীতি নিজেও সোশ্যাল মিডিয়ায় দূরদর্শনের পর্দায় নিজের গান গাওয়ার সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। ক্যাপশানে লিখেছেন, ‘My real debut’, অর্থাৎ সেটাই ছিল আমার আসল ডেবিউ।
আরও পড়ুন-‘বিদায়!’ রূপঙ্কর বাগচীর আচমকা এমন ফেসবুক পোস্ট ঘিরে হইচই, কী আবার হল?
ইনস্টাগ্রাম সহ বিভিন্ন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ২০ বছর আগে পরিণীতির সেই গান গাওয়ার ভিডিয়ো এখন ভাইরাল। ভিডিয়োতে পরিণীতিকে গেরুয়া রঙের সালোয়ার কামিজে দেখা যাচ্ছে। অন্যান্য কিশোর-কিশোরীর সঙ্গে দেশাত্মবোধক গান গাইতে শোনা যাচ্ছে তাঁকে। ভিডিয়োটি এখানে যেন একটা টাইম মেশিনের মতো, সহজেই এটি এক ঝটকায় পুরনো আমাদের সকলকে পুরনো যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। নেটনাগরিকদেরও মন্তব্য, এই ভিডিয়ো আমাদের আরও একবার দূরদর্শন দেখার সময়ের কথা মনে করিয়ে দিল। কেউ কেউ বিস্মিত হয়ে লিখেছেন, তখনকার পরিণীতির আর এখনকার পরিণীতির মধ্যে কিন্তু সেভাবে কোনও পরিবর্তনই হয়নি।
প্রসঙ্গত, অনেকেই হয়ত জানেন না, পরিণীতি যতটা ভালো অভিনয় করেন, তিনি পড়াশোনাতেও ঠিক ততটাই তুখোড় ছিলেন। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছিলেন তিনি। যে কারণে তিনি রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কারও পান। পরবর্তী সময়ে পরিণীতি ম্যাঞ্চেস্টার বিজনেস স্কুল থেকে বিজনেস, ফাইন্যান্স ও ইকোনমিক্স এই তিনটি বিষয়ে স্নাতক।এছাড়াও মিউজিক নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে তাঁর।
তবে এত ভালো ছাত্রী হওয়ার পরও বিদেশে গিয়ে কোনও চাকরির ইন্টারভিউতে সেভাবে সফল হননি পরিণীতি। যেকারণে তিনি নাকি সেসময় ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন। আর তাই তিনি দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। পরিণতি যশরাজ ফিল্মসের পি আর হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেন। শুরুর দিকে নাকি তাঁর অভিনয় নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না। পরে দিদি প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে 'সাত খুন মাফ' ছবির সেটে গিয়ে অভিনয় নিয়ে আগ্রহ জন্মায় তাঁর। পরিণীতি একদিনের জন্য হলেও রানি মুখোপাধ্যায়ের পিএ হয়ে কাজ করেছেন। রানিই নাকি তাঁকে বলেছিলেন বলিউডে অভিনেত্রী হতে গেলে যে যোগ্যতা লাগে তা তাঁর আছে।