তিনতলা বাড়িটি ভেঙেচুড়ে পড়েছে। সেখানে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে ‘বিপজ্জনক বাড়ি’ বলে নোটিস মেরেছে। আর সেই বাড়িরই একতলায় একটি গুদাম ঘর। তারই শাটার বন্ধ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। ঘটনাটি ঘটেছে জোড়াবাগান থানা এলাকার দর্পনারায়ণ ঠাকুর স্ট্রিটে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম কাশীনাথ জ্যোতি (৫৬)। হাওড়ার আমতায় বসবাস করতেন।
গত মে মাসে রাজভবনের সামনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ইঞ্জিনিয়ার যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। সে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ১৮ জুন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় দু’জনের। পাটুলিতে জমা জলে মাছ ধরতে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। আর হরিদেবপুরে মোটরবাইক নিয়ে রাস্তায় জমা জলে যেতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির।
দর্পনারায়ণ ঠাকুর স্ট্রিটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিপজ্জনক বাড়িতে পুরসভা নোটিশ দিয়ে খালি করার কথা বললেও তা হয়নি অভিযোগ উঠেছে। ওই বাড়িতে গুদামের শাটার নামাতে গিয়ে কাশীনাথের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। যা বাড়ির মালিক দায় এড়াতে পারেন না বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত বাড়ির মালিককে চিহ্নিত করতে পারেনি জোড়াবাগান থানা।
সিইএসসি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখানে বেআইনিভাবে পাশের বাড়ির একটি মিটার থেকে বিদ্যুতের তার টেনে সংযোগ করা হয়েছিল। সেই তারই শাটারের সঙ্গে লেগে যায়। ঘটনার খবর পেয়েই মিটারটি সিল করা হয়েছে। মিটারটি যাঁর নামে রয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিইএসসি। এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শাটারটি বন্ধ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই প্রৌঢ়। শাটারটির পাশে বিপজ্জনকভাবে বিদ্যুতের তার ঝুলে রয়েছে। সেখানে ওয়্যারিং ছাড়াই যত্রতত্র ঝুলছে বিদ্যুতের তার। ওই তার ছিঁড়ে শাটারের সঙ্গে লেগে থাকায় শাটারটি বিদ্যুৎবাহী ছিল। সেটি স্পর্শ করতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন প্রৌঢ় কাশীনাথ। তিনি এই গুদামেই দীর্ঘদিন ধরে কাজ করতেন।