সন্দেশখালি নিয়ে এখনও তেতে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এ নিয়ে লাগাতার মামলা হয়েই চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে। শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, অথচ বাকিদের ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। সন্দেশখালি নিয়ে এমনই অভিযোগ উঠেছে। সেক্ষেত্রে পাটনা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া এবং তাঁকে গ্রেফতার করা নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে ছিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তাঁকে গ্রেফতারের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে মামলা দায়েরের অনুমতি দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
আরও পড়ুন: ফের আদালতে ধাক্কা পুলিশের, গান্ধীমূর্তির নীচে BJPর ধরনার অনুমতি দিল হাইকোর্ট
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গত রবিবার সন্দেশখালি যায় ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৬ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেই দলে ছিলেন পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এল নরসিমহা রেড্ডি, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার, আইনজীবী অন্যান্যরা। তাঁদের ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া এবং নতুনপাড়ায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, পুলিশ তাদের পথ আটকায় বলে অভিযোগ। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বচসা বাঁধে। পুলিশের তরফে যুক্তি দেখানো হয় সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই যেতে দেওয়া যাবে না। প্রায় ৫২ কিমি আগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের আটকে দেয় পুলিশ। এর প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ করেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা। এরপরই তাঁদের টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে গ্রেফতার করে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির বক্তব্য, সন্দেশখালিতে শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের দেওয়া হচ্ছে। তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে না, অথচ বাকিদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এরপরেই বিচারপতি কৌশিক চন্দ বলেন, ‘শাসক নেতাদের যে আটকানো হবে না এটাই স্বাভাবিক বিষয়। আপনাদের দল ক্ষমতায় এলে তারাও সেটাই করবে।’ আইনজীবী এ বিষয়ে মামলা করার অনুমতি চাইলে তার অনুমতি দেন বিচারপতি চন্দ। অন্যদিকে, সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিজেপি ধরনা কর্মসূচি করতে পারবে বলে অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।