বাংলাদেশে যেতে চাওয়া এক তরুণীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠে দুই বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিএসএফের এক এএসআই এবং এক কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করে বাগদা থানার পুলিশ। এই আলোড়ন ফেলা ঘটনা নিয়ে কার্যত বিএসএফের পাশেই দাঁড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তাঁর মন্তব্য নিয়ে গোটা বাংলায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নিজেরা মহিলাদের সম্মান রক্ষার্থে মিছিল করছে, আর সেই দলের শীর্ষ নেতার এমন মন্তব্য জোরালো প্রভাব ফেলেছে।
ঠিক কী ঘটেছিল বাগদায়? এই গণধর্ষণের ঘটনায় বাগদা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের এএসআই এসপি চেরো এবং কনস্টেবল আলতাফ হোসেন। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বাগদা সীমান্তের জিতপুর দিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বসিরহাটের বাসিন্দা ২৩ বছরের তরুণী। তখন কর্তব্যরত দুই বিএসএফ জওয়ান তাঁকে পাট ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। তাঁকে বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে পাট ক্ষেতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এমনকী এই দু’জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে বিএসএফের পক্ষ থেকে।
ঠিক কী বলেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ? বিএসএফের এই কুকীর্তিতে নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা রাজ্যে। তারই মধ্যে এই বিষয়ে কার্যত বিএসএফের পাশেই দাঁড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এমন ভুয়ো অভিযোগ ওঠে। তবে যদি তা সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে ভয়ঙ্কর ঘটনা।’ এই ধরি মাছ না ছুঁই পানি মন্তব্য বিএসএফের পক্ষে সওয়াল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, বিএসএফের সদর দফতর থেকে এই নিয়ে পুলিশের কাছেও রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে জোর শোরগোল পড়েছে এলাকায়। ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও উত্তেজনা না ছড়ায় তাই সবরকম ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। দ্রুত অভিযুক্ত দুই জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়। উত্তেজনা প্রশমনে এলাকায় পুলিশ নজর রাখছে।