সরকার ও সরকার পোষিত স্কুলের অব্যবস্থা, রাজনীতিকরণ নিয়ে এবার বিস্ফোরক রিপোর্ট সামনে আনল ক্যাগ।
কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ) রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলির উপর একটি পারফরম্যান্স অডিট রিপোর্ট তৈরি করেছে। আর সেই রিপোর্টে এই স্কুলগুলিকে পড়াশোনার অবনতির জন্য রাজনীতির অনুপ্রবেশকেই কার্যত কাঠগড়ায় তুলেছে বলে খবর। কার্যত আমজনতার উদ্বেগ, সাধারণ অভিভাবকদের মনের কথাই যেন প্রতিফলিত হয়েছে এই রিপোর্টে।
ওই ক্যাগ রিপোর্টে রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষকদের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা ভালো শিক্ষকদের রাজনীতি করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকী শিক্ষকদের একাংশ নানা জায়গায় ভোটে লড়ে, সেখানে নির্বাচিত হওয়ার পরে স্কুল থেকে দিনের পর দিন ধরে ছুটি নিয়ে নিচ্ছেন । এর পরিণতি কী হতে পারে সেকথাও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
এমনকী শিক্ষকদের রাজনীতি করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এক্ষেত্রে একাধিক জেলায় শিক্ষকরা কীভাবে ভোটে লড়ে নির্বাচিত হওয়ার পরে কীভাবে স্কুল থেকে দীর্ঘ ছুটি নিয়ে নিচ্ছেন সেই প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে। তবে নিয়ম অনুসারে স্কুল শিক্ষকরা যে রাজনীতি করতে পারেন সেটা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে বলেও মনে করছেন অনেকেই।
এভাবে স্কুল শিক্ষকরা রাজনীতিতে সরাসরি ব্যস্ত হয়ে পড়লে ঠিক কী হতে পারে সেটাও ক্যাগ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্কুলে কীভাবে ধীরে ধীরে রাজনীতির অনুপ্রবেশ হচ্ছে তারও ইঙ্গিত মিলেছে ক্য়াগ রিপোর্টে। ক্যাগের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষকদের যদি ভোটের রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় তবে তা স্কুলগুলিতে রাজনীতিকরণ ঘটায়। এর জেরে স্কুলগুলিতে রাজনীতিকরণের অনুপ্রবেশ ঘটে। স্কুলে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ ঘটলে পড়ুয়াদের মধ্য়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। সব মিলিয়ে সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলের ভেতরের অবস্থাটা একেবারে সামনে এনে দিয়েছে ক্যাগ রিপোর্ট। এটা যে কতটা উদ্বেগের সেকথা ভাবলেই শিউরে উঠছেন অভিভাবকরা।