অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে লাগামছাড়া বিল নিতে দেখা যায় রোগীদের কাছ থেকে। এই রেট বেঁধে দেওয়ার জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের রেগুলেশন তৈরি করার কথা থাকলেও তা এখনও কার্যকর করা হয়নি। এমনকি রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন নিজেও বহু ক্ষেত্রে ২০১৭ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্টের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে না। ফলে নিজেই নিয়ম মানছে না কমিশন। এই অভিযোগে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় স্বাস্থ্য কমিশনের কাছে কলকাতা হাইকোর্ট রিপোর্ট চাইল।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি উঠে। জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য কমিশনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবর মাসে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন ভাস্করানন্দ নামে এক ব্যক্তি। মামলাকারীর হয়ে আদালতের সওয়াল করেন আইনজীবী শ্রীকান্ত দত্ত। আইনজীবী জানান, ওয়েস্টবেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার খরচ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারপরেও বিভিন্ন হাসপাতাল, নার্সিং হোমে চিকিৎসা খরচ বাবদ আলাদা আলাদা রেট নেওয়া হচ্ছে। সেগুলির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে না রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন । যে আইনে কমিশন তৈরি সেই আইন নিজেই ভঙ্গ করছে কমিশন।
অন্যদিকে, রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের পক্ষে এদিন আদালতে জানানো হয় রেট নির্দিষ্ট করা নিয়ে তারা বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলিকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন । সে ক্ষেত্রে কী কী পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৪ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি।