ডায়মন্ড হারবারের পথে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার কনভয়ে হামলার নিন্দায় সরব হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এব্যাপারে রাজ্যপালের কাছে ইতিমধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। পালটা ঘটনাকে বিজেপির ‘নৌটঙ্কি’ বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন টুইটারে অমিত শাহ লেখেন, ‘আজ বাংলায় সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাজির ওপরে যে হামলা হয়েছে তার যত নিন্দা করা যায় কম। কেন্দ্রীয় সরকার এই হামলাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্ররোচনায় এই হিংসায় রাজ্যের শান্তিপ্রিয় মানুষ জবাব দেবে।’
তিনি আরও লেখেন, তৃমমূল সরকারের জমানায় বাংলা অত্যাচার, অরাজকতার অন্ধকার যুগে প্রবেশ করেছে। তৃণমূলের জমানায় পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসাকে যে ভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে চরমে পৌঁছনো হয়েছে তা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস রাখা সমস্ত মানুষের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগের।
হামলার পর জেপি নড্ডার সঙ্গে ফোনে কথা হয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। এর পর তিনি টুইটারে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সফরে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার কনভয়ে হামলার পর তাঁকে ফোন করে আমি কুশল সংবাদ নিয়েছি। এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলার একটা চিহ্ন। গণতন্ত্রে রাজনৈতিক নেতাদের ওপর এই ধরনের আক্রমণ অত্যন্ত উদ্বেগের। এই ঘটনার দায় নির্দিষ্ট করতে ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।’
এর পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবারের ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট রাজ্যপালের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারে জানতে সন্ধ্যায় মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে রাজভবনে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এর পর টুইটে রাজ্যপাল জানান, বৈঠকে গোটা সময় চুপ করে বসে ছিলেন ২ প্রধান প্রশাসনিক কর্তা।