আজ, রবিবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সেখানে থেকে ফিরে এপ্রিল মাসে নয়াদিল্লি যাওয়ার কথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। তবে এখনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ স্থির হয়নি। কিন্তু যাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী জুলাই মাসে রাষ্ট্রপতি এবং উপ–রাষ্ট্রপতি নির্বাচন রয়েছে। সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই বিরোধী আঞ্চলিক জোট তৈরি হতে চলেছে। যার মহড়া দেখা যেতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এপ্রিল মাসের নয়াদিল্লি সফরে।
বিরোধী জোটের উদ্যোগ কেন? জানা গিয়েছে, একাধিক রাজনৈতিক দল চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে শক্তিশালী বিরোধী জোট তৈরি করতে। কারণ বিজেপিকে ঠেকাতে বিরোধী মুখ তিনিই। আর তার মহড়া হতে পারে আগামী জুলাই মাসের রাষ্ট্রপতি এবং উপ–রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মধ্য দিয়েই। ইতিমধ্যে সেই বার্তা এসে পৌঁছেছে কালীঘাটে। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (কেসিআর) চাইছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচন করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের সেই প্রার্থীকে সমর্থন দেবে বিরোধী দলগুলি।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এপ্রিল মাসেই নয়াদিল্লি যাবেন মমতা। সেখানেই বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সংক্রান্ত সব বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যা বলার বলবেন।’ এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, খেলা এখনও বাকি আছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জেতা অত সোজা নয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পর থেকেই বিষয়টি পাকতে শুরু করে। বহু বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই কথা চলছে। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, জেডি(এস) নেতা এইচ ডি দেবেগৌড়া, সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব, আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং বিজেডির নবীন পট্টনায়েক–এর সঙ্গে হালকা কথা হয়েই রয়েছে। সেই ঢেউ আছড়ে পড়বে নয়াদিল্লিতে বলে মনে করা হচ্ছে।