এখন তিনি দেশের বিরোধী মুখ। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। হ্যাঁ, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। প্রত্যেক বছর এই দিনটিকে পালন করা হয়। এবারও ১০ ডিসেম্বর তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে আজকের দিনটিকে সামনে রেখে একটি টুইট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বার্তা দিয়েছেন, বৈষম্যকে দূরে সরিয়ে আর সবাই এক হয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে ব্রতী হতে।
ঠিক কী লিখেছেন তিনি টুইটে? এদিন টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘এই বছর মানবাধিকার দিবসে কয়েকটি পণ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। চলুন না, আমরা হিংসা এবং অসাম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি। একজোট হয়ে পরস্পরের জন্য লড়াই করি এবং অবশ্যই একে অপরের পাশে দাঁড়াই। একসঙ্গে মিলে যুদ্ধটা করলে আমরা মানবাধিকার খর্ব করে এমন যে কোনও শক্তিকে পরাস্ত করতে পারব। এবারের মানবাধিকার দিবসে মানুষের অধিকারটাই সর্বাগ্রে রাখা দরকার।’
মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার মধ্যে দেশে ঘটে চলা ঘটনার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বারবার তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, বাংলাকে বঞ্চিত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ তাঁর নেপাল সফরে যাওয়ার কথা ছিল। বিদেশমন্ত্রক তাঁর সফরে ছাড়পত্র দেয়নি। সেখানে এই টুইট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সাল থেকে এই দিনটি উদযাপিত হয় দেশে। ওই বছর আজকের দিনেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় মানুষের অধিকারকে মান্যতা দিয়েছিল। তারপর থেকেই এই দিনটিকে মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়।
তবে মানবাধিকার প্রসঙ্গে রাজ্যের সমালোচনা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তাঁর দাবি, ‘পশ্চিমবঙ্গে প্রকাশ্যেই মানবাধিকার হনন করা হচ্ছে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা রাজনীতিকদের হয়ে কাজ করছেন। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলার সাহস পর্যন্ত পাচ্ছেন না। প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সঠিক রাখার ক্ষেত্রে মানবাধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’