বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে কংগ্রেস–সিপিআইএমের মধ্যে কোনও বোঝাপড়া হয়নি। এখানে দু’পক্ষই প্রার্থী দিয়েছে। কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন অধ্যাপক কামরুজ্জামান। কিন্তু তারপরেও বাস্তবতার যুক্তিতে এই কেন্দ্রে সিপিআইএমের মহিলা প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমকে ভোট দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। আর তা নিয়েই কংগ্রেসের অন্দরে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন মান্নান।
ঠিক কী ঘটেছে কংগ্রেসের অন্দরে? বিধান ভবন সূত্রে খবর, সিপিআইএমের রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন। যেখানে প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমকে ভোট দিতে বলেছেন বিকাশবাবু। সেই ফেসবুক পোস্টকে শেয়ার করেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান। আর সায়রাকে ভোট দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। ব্যস, প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ কিছু কর্মী মান্নানের এই পদক্ষেপকে দলবিরোধী বলে বর্ণনা করে তাঁর শাস্তির দাবিও তুলেছেন।
ঠিক কী লিখেছেন বিকাশবাবু? ফেসবুক পোস্টে সিপিআইএম নেতা লেখেন, ‘বালিগঞ্জের ভোটারদের কাছে এসেছে এক সুযোগ। রাজ্যবাসী কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার। রাজনীতিকে পণ্য করে যাঁরা বেঁচে থাকতে চায় তাঁদের সমুচিত শিক্ষা দেবার। তাই সায়রা হালিমকে ভোট দিয়ে সমুচিত শিক্ষা দেওয়া সম্ভব......।’ এই ফেসবুক পোস্টই শেয়ার করেন আবদুল মান্নান।
ঠিক তারপর কী শুরু হয়েছে? দলীয় সূত্রে খবর, আবদুল মান্নান ফেসবুক পোস্টি শেয়ার করতেই কংগ্রেসের কিছু কর্মী সোশ্যাল মিডিয়ায় মান্নানকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। যদিও মান্নান এখনও নিজের অবস্থানে অটল রয়েছেন। এমনকী আগে আসানসোল ও বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার জন্য মান্নান আগেই সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছিলেন। যদিও তাঁর সেই আবেদনে হাইকমান্ড সাড়া দেয়নি।