বামেদের নবান্ন অভিযানে আহত DYFI কর্মী মইদুল ইসলামের মৃত্যুতে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল কলকাতার একাধিক জায়গায়। এদিন বিকেলে দীনেশ মজুমদার ভবনের সামনে DYFI কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশকর্মীদের হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে। ওদিকে ময়নাতদন্তে দেরি হওয়ায় পুলিশ মর্গের সামনেও ছড়ায় উত্তেজনা। বাম নেতারা সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে ২ জায়গাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিন দুপুরে মধ্য কলকাতার জোড়া গির্জার উলটো দিকে দীনেশ মজুমদার ভবনের সামনে জমায়েত করতে থাকেন বাম যুবারা। সেখানে নিহত দলীয় কর্মীর দেহ পৌঁছনোর কথা। জমায়েতের জেরে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু রোডে যান চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হলে বাম কর্মীদের গলির মধ্যে ঢুকে যেতে বলেন কয়েকজন পুলিশকর্মী। পালটা ওই পুলিশকর্মীদের আক্রমণ করেন বাম যুবারা। একজন পাশে একটি রেস্তোরাঁয় ঢুকে পড়েন। অন্য জনের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বাম কর্মীদের তাতে ওই পুলিশকর্মীর উর্দি ছিঁড়ে যায়।
বাম নেতাদের দাবি, নিহত দলীয় কর্মী সম্পর্কে কটূক্তি করছিলেন ওই ২ পুলিশকর্মী। তার জেরেই মুহূর্তে উত্তেজনা ছড়ায়। বাম নেতারাই ওই দুই পুলিশকর্মীকে রক্ষা করেন। এর জেরে ওই রাস্তায় কিছুক্ষণের জন্য যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ওদিকে সন্ধ্যায় পুলিশ মর্গের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাম যুবারা। তাদের অভিযোগ, ইচ্ছা করে ময়নাতদন্তে দেরি করছে পুলিশ। দিনের বেলা তারা দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে চায় না। তাই এই টালবাহানা। এই অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাম যুবারা। সেখানে হাজির ছিলেন সুজন চক্রবর্তী ও মহম্মদ সেলিম। তারা বিক্ষোভকারীদের শান্ত করেন। বলেন, বিক্ষোভ হলে শান্ত মাথায় ময়নাতদন্ত করতে পারবেন না চিকিৎসক।