বিপুল পরিমাণ সোনা পাচার করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শহরের ব্যবসায়ী সঞ্জয় আগরওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এই ব্যবসায়ী গ্রেফতারি এড়াতে পলাতক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে তিনি বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকার সোনা এদেশে এনেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করছে। ইডি কলকাতার বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছিল। সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, নভেম্বর মাসেই ব্যাঙ্কের ঋণশোধ না করে পালিয়ে যান তিনি। তাঁর সংস্থার নাম মহালক্ষ্মী কর্পোরেশন। এখান থেকেই ৪২.৩৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এই সংস্থার বিরুদ্ধে ১৬৪ কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে মামলা দায়ের করেছিল সিবিআই। তার ভিত্তিতেই ইডিও মামলা দায়ের করে। আর তার জেরেই গ্রেফতার ব্যবসায়ী।
উল্লেখ্য, কর ফাঁকি দেওয়ার টাকায় সোনা কেনা হয়েছিল। সেই সোনা পাচার করা হয়েছিল। সেখান থেকে মুনাফা করেছিলেন এই ব্যবসায়ী বলে অভিযোগ। পাশাপাশি ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করে গা–ঢাকা দিয়েছিলেন। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই মাঠে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সমান্তরালভাবে তদন্ত চালাচ্ছিল সিবিআইও।
ব্যবসায়ী সঞ্জয় আগরওয়াল বারবারই তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দিয়েছিলেন। তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েও কোনও জবাব মেলেনি। ব্যাঙ্ককে আজ নয় কাল বলে টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব করছিলেন তিনি। তারপর একটা সময় আর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি। আর সোনা পাচার করে বিরাট মুনাফা করেছিলেন তিনি। অবশেষে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছে।