এসএসসিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও এবং ডিরেক্টরের সম্পত্তি ও লেনদেনের খতিয়ান সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করল ইডি। তাতে দাবি করা হয়েছে এই সংস্থার সঙ্গে এক অভিনেতার লেনদেন হয়েছে। তাঁর সঙ্গে কত টাকার লেনদেন হয়েছে? শেষ পর্যন্ত সেই টাকা কোথায় গিয়েছে? সেই সমস্ত তথ্য আদালতে পেশ করল ইডি। তবে সিনেমা জগতের শুধুমাত্র একজনের নাম জানতে পারা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
আরও পড়ুন: ফাইল ডাউনলোডের অভিযোগ পেয়েই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ
বৃহস্পতিবার ইডির তরফে আদালতে জানানো হয়, শুধুমাত্র একজন অভিনেতার সঙ্গে লেনদেন হয়েছে। মোট ৪৪ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল। তবে সেই অভিনেতা টাকা ফেরত দিয়েছেন। এরপরে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘শুধুমাত্র একজনের নাম পেলেন? সিনেমা জগতের আর কেউ আর্থিক লেনদেনে যুক্ত নেই?’ তবে ইডির তরফে জানানো হয়, তদন্তটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সবেমাত্র তদন্তটি শুরু হয়েছে। এখনও তদন্ত অনেক বাকি রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে যে তথ্য এবং নথি পাওয়া গিয়েছে তার ভিত্তিতে এই রিপোর্ট আদালতে জমা করা হয়েছে। এর সঙ্গে আরও কারও কাদের লেনদেন হয়েছে কিনা তা আগামী দিনে তদন্ত করে জানা যাবে।
যদিও ওই অভিনেতার নাম প্রকাশ করেনি ইডি। তবে রিপোর্টে জানিয়েছে, ওই অভিনেতা দাবি করেছেন তিনি টাকা নেওয়ার পর ফেরত দিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি অভিনয় জগতের আরও কারা স্ক্যানারে রয়েছে সে বিষয়টিও আদালতে জানিয়েছে তারা।প্রসঙ্গত, এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট সংস্থার সিইও, ডিরেক্টরের সম্পত্তির হিসেব, সিনেমা জগতের কারা যুক্ত? কোন পথে লেনদেন হয়েছে? কত টাকা লেনদেন হয়েছে? সেই সমস্ত তথ্য ইডিকে জমা দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। সেইমতো বৃহস্পতিবার আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় ইডি। তাদের তরফে সংস্থা তৈরির সময় যে মউ চুক্তি হয়েছিল সেই সংক্রান্ত তথ্য মুখ বন্ধ খামে জমা দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার অফিস থেকে ফাইল ডাউনলোড করার অভিযোগে বার বার সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই মামলার তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলল ইডি। তাদের দাবি, তদন্তের গতি স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার আদালতে ইডি দাবি করে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও জানানোর পর থেকেই তাদের তদন্তে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলে ইডি। তাদের দাবি, প্রভাবশালীদের নির্দেশে পুলিশ তাদের কাজে বাধা দিচ্ছে।