‘মারি তো গণ্ডার লঠিত ভাণ্ডার’। এই প্রবাদবাক্যের উপর ভর করে মালিকের ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় গাড়িচালক। আর ভেবেছিল এই দিয়ে বাকি জীবনটা আরামেই কেটে যাবে। কিন্তু সেই ভাবনায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভবানীপুর থানার পুলিশ। সেখানে অভিযোগ জমা হতেই পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। আর পঞ্চাশ লক্ষের মধ্যে ৪৩ হাজার ৫০০ টাকাই উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয়েছে গাড়িচালককে। এই ঘটনায় প্রশংসিত হয়েছে পুলিশ। বিষয়টি টুইট করা হয়েছে ডিসি সাউথের পক্ষ থেকে।
এই টাকা নিয়ে চম্পট দেওয়ার পর ফুর্তিতে মেতে ওঠেন অভিযুক্ত গাড়িচালক বলে সূত্রের খবর। সে নানান ধরনের খাবার অর্ডার করে খেতে থাকে। দামী জামাকাপড় কিনে ফেলে। এমনকী নয়া রোদ্দুর চশমাও সে কিনেছিল বলে জানা গিয়েছে। যাতে ধরা না পড়ে তাই নানা জায়গায় গা–ঢাকা দিতে শুরু করে এই চালক। এভাবেই কেটে যাবে ভেবেছিল সে।
ঠিক কী ঘটেছে? গত ৮ অক্টোবর ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রভাসচন্দ্র পতি নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি থানায় অভিযোগ করেন, গাড়িচালক অলোক দাস তাঁর ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে। এলগিন রোডে তাঁর টাকা ছিনতাই করে চম্পট দেয় সে। এরপর তদন্তে নামে ভবানীপুর থানার পুলিশ। আর ধরে ফেলে গাড়িচালক চোরকে। খড়দহ থানার পুলিশের সাহায্য নিয়ে অলোক দাসকে গ্রেফতার করে ভবানীপুর থানার পুলিশ।
কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছিল? পুলিশ সূত্রে খবর, অলোক দাস ৫০ লক্ষ টাকা চুরির কথা স্বীকার করেছে। তবে তার অভিযোগ, এই মালিক প্রভাসচন্দ্র পতি নিজে বিলাসবহুল জীবনযাপন করলেও তাকে বেতন কম দেওয়া হতো। তার উপর খুব খাটাতো। এই জন্য প্রতিশোধ নিতেই সে পরিকল্পনা করে ৫০ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে চম্পট দেয়। নিজেও বিলাসবহুল জীবন কাটাতে বাকি সাড়ে ৬ হাজার টাকা ফুর্তি করে উড়িয়ে দিয়েছে অভিযুক্ত গাড়িচালক।