তিনি এজলাসে এলেও আইনজীবীদের বড় অংশ তাঁর এজলাসে আসেননি। তাঁরা যাতে এজলাসে আসেন, এই অনুরোধ জানাতে শেষ পর্যন্ত নিজেই আইনজীবীদের সংগঠনের অফিসে গেলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৩৩ মিনিটে তিনি এজলাসে হাজির হন। পরে বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে তিনি বেরিয়ে যান। এই সময়ের মধ্যে ৫টি মামলার শুনানি হয়। এর মধ্যে তিনটি মামলার ক্ষেত্রে মামলাকারী নিজেই সওয়াল করেন। বাকি দুটি ক্ষেত্রে আইনজীবী সাওয়াল করেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, বৃহস্পতি এবং শুক্রবার মামলাগুলির দু’পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত না থাকেন, তবে এক পক্ষের সওয়াল শুনে তিনি কোনও নির্দেশ দেবেন না।
এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'রাগ অভিমান করে থাকবেন না, কাজে ফিরুন। কাজ করতে গেলে মাথা গরম হয়, ওসব নিয়েই চলতে হবে। নতুন বছর আসছে পুরনো কথা ভুলে নতুন করে এগিয়ে যেতে হবে।'
সাড়ে বারোটায় আরও একটি মামলা ওঠার কথা ছিল, সেই মামলা শোনার জন্য তিনি ফের এজলাসে আসেন। সেই সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বার অ্যাসোশিয়েশনে গিয়ে তিনি আইনজীবীদের এজলাসে আসার জন্য অনুরোধ করবেন। তিনি বলেন, 'বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসুমল্লিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি দুপুর দেড়টায় বারে যাব। জানার চেষ্টা করব, কেন আমার বিরুদ্ধে এত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে বার। দুপুর দেড়টা নাগাদ হাজির হন বার অ্যাসেসিয়েশনে।
(পড়ুন। আর হাতে বাকি ২০ দিন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে সময়সীমা স্মরণ কলকাতা হাইকোর্টের)
প্রসঙ্গত, এক আইনজীবীর আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে শেরিফের হাতে তুলে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে তিনি সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু এই ঘটনা পর আইনজীবীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বিচারপতির এজলাস বয়কট করবেন বলে জানান। বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসুমল্লিক বলেন, যত দিন না বিচারপতি এই ঘটনার জন্য ওই আইনজীবী এবং বারের কাছে দুঃখপ্রকাশ করছেন, তত দিন এই প্রতিবাদ চলবে।
মাঝে মঙ্গল আর বুধবার বিচারপতি নিজেই এজলাসে আসেননি। বৃহস্পতিবার এসে তিনি বার অ্যাসোসিয়েশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।