আজ, মঙ্গলবার হঠাৎ বেজে উঠল কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুমের নম্বর। ১০০ ডায়াল করেন এক কলকাতা পুরসভার কর্মী। আজ দুপুরে ১০০ ডায়াল করে ওই কর্মী জানান, কাজের চাপ সামলাতে পারছেন না। তাই আত্মহত্যার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কালবিলম্ব না করে পুলিশ নিউ মার্কেট থানার সাহায্য নিয়ে আত্মহত্যার থেকে বাঁচাল ওই যুবককে। তারপরই কলকাতা পুরসভার অফিস থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নিউ মার্কেট। কিন্তু হঠাৎ পুলিশের তৎপরতা দেখে প্রথমে হকচকিয়ে যান সকলে। তারপরই প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা।
এদিকে কলকাতা পুরসভায় যখন চরম ব্যস্ততা তখন কলকাতা পুলিশের দৌড় দেখে সবাই ঘাবড়ে যান। তারপর পুলিশের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসা করা হয়, পুরসভার সেন্ট্রাল রেকর্ডের ঘর কোনটা? তাতে আরও চমকে যান পুরসভার কর্মীরা। আঙুল উঁচিয়ে একজন দেখাতেই দৌড়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা। তখনই দেখা যায়, পুরসভারই এক কর্মী ততক্ষণে আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সঞ্জীব সেহগাল ওই পুরকর্মীর নাম। তাঁর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ‘কামদুনির ধর্ষকদের পক্ষে সওয়াল বিজেপির আইনজীবীর’, শুভেন্দুকে তোপ দেবাংশুর
অন্যদিকে আজ লালবাজারের ১০০ ডায়ালে ফোন আসে। তাতে ওই পুরসভার কর্মী জানান, তিনি কলকাতা পুরসভার সেন্ট্রাল রেকর্ড বিভাগের কর্মী। কাজের বিপুল চাপ, তিনি সামলাতে পারছেন না। তাই মানসিক অবসাদে ভুগছেন। এই কারণে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন। এই ফোন পেয়েই লালবাজার যোগাযোগ করে নিউ মার্কেট থানার সঙ্গে। ওই পুরসভার কর্মীকে যেভাবে হোক বাঁচাতেই হবে বলে নির্দেশ আসে। দ্রুত পদক্ষেপ নেয় নিউ মার্কেট থানার পুলিশ। আর তাতেই প্রাণে বাঁচে কলকাতা পুরসভার সেন্ট্রাল রেকর্ড বিভাগের কর্মী। পুলিশ সূত্রে খবর, গলায় ফাঁস লাগাতে যাচ্ছিলেন ওই কর্মী। এখন তিনি হাসপাতালে ভর্তি।
আর কী জানা যাচ্ছে? সঞ্জীব সেহগাল কলকাতা পুরসভার সেন্ট্রাল রেকর্ড বিভাগের বহুদিনের কর্মী। তাঁকে অন্য বিভাগে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কয়েকদিন পর সঞ্জীব ফিরে আসেন সেন্ট্রাল রেকর্ড বিভাগে। এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, ‘অন্য কোনও সমস্যা থাকতে পারে। তবে কাজের সেরকম কোনও চাপ নেই। যার জন্য এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কাজের চাপে এই ধরনের ঘটনা বলে মনে হয় না। পুলিশ তদন্ত করছে। সত্যটা সামনে আসবে। ওই কর্মীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি যাতে সুস্থ থাকেন, তার জন্য পুলিশ এবং পুরসভা কর্তৃপক্ষ সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে।’