গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জনের। সেই সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্ন মুখে পড়ল কলকাতা পুরসভা।পুর আধিকারিকদের কেন এখনও সাসপেন্ড করা হয়নি? তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। একই সঙ্গে দোষীদের যাতে খুঁজে বের করা যায় সেভাবেই তদন্ত করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও এদিন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি আদালত। সেক্ষেত্রে মামলার অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে পুরসভা এবং রাজ্যকে। তা দেখেই এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। আগামী ২ সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন: ইদ পেরলেই গার্ডেনরিচের অলিতে গলিতে যাবেন মেয়র, ইঞ্জিনিয়ার সুরক্ষায় বিশেষ স্কোয়াড
গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে পড়ার ফলে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। এক বিজেপি নেতা এনিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার শুনানি হচ্ছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে। প্রধান বিচারপতি না থাকায় মামলার শুনানি হয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত সেক্ষেত্রে স্পষ্ট করে দিয়েছে, পুর অফিসারদের ভূমিকা কী ছিল? তা তদন্ত করে খতিয়ে দেখতে হবে।
বেআইনি নির্মাণ হওয়ার পরেও কেন আধিকারিকরা পদক্ষেপ করেননি তা আগেই প্রশ্ন উঠেছে। সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা জানতে চায় আদালত। এর পরে কেন তাদের সাসপেন্ড করা হয়নি? তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পুরসভাকে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। সেক্ষেত্রে পুরসভার তরফে জানানো হয় তাদের একটি কমিউনিটি হলে রাখা হয়েছে। কমিউনিটি হলটি বৈধ নির্মাণ কিনা তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। যদিও রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা বন্ধ হওয়া উচিত।
মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে জানানো হয়, এই জায়গার ৪ জন মালিক রয়েছে তার মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আদালত জানিয়েছে, বেআইনি নির্মাণের পিছনে পুর আধিকারিকদের কী ভূমিকা রয়েছে দেখতে হবে। তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তার ভিত্তিতে সিবিআই তদন্ত দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্ট।