লোকসভা ভোটের আগে কলকাতা পুরসভায় শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক পদে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। অতিরিক্ত পুর কমিশনার, সচিব প্রভৃতি পদে রদবদল হওয়ার ফলে শীর্ষ পদাধিকারীদের মধ্যে কাজ নিয়ে যাতে কোনও বিভ্রান্তি তৈরি না হয় তার জন্য প্রত্যেকের কাজের দায়িত্ব নির্দিষ্ট ভাবে ভাগ করে দিল পুর কর্তৃপক্ষ। কোন আধিকারিক কী সংক্রান্ত কাজ দেখভাল করবেন সে বিষয়টি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে পুর কমিশনারের অফিসের তরফে পুরসভার সব দফতরে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিরল রোগের সচেতনতায় বিশেষ ক্যাম্প করবে পুরসভা, থাকবে চিকিৎসা পরিষেবাও
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত পুর কমিশনার, পুর সচিব এবং যুগ্ম পুর কমিশনারের মধ্যে এই কাজের দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছে কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে কোন আধিকারিক কী কাজ করবেন তা নির্দিষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে। এর ফলে আধিকারিকদের কাজের ক্ষেত্রে কোনও বিভ্রান্তি হবে না বলে মনে করছে পুর কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয় এবার থেকে অতিরিক্ত পুর কমিশনার এবং পুর সচিব কাজের ক্ষেত্রে সরাসরি পুর কমিশনারকে রিপোর্ট করবেন বলেই নির্দেশে জানানো হয়েছে।
কোন অধিকারিক কী দায়িত্ব পালন করবেন?
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত পুর কমিশনারকে ৩৩ টি কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেগুলি কী ধরনের কাজ তা নির্দিষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক কাজ, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, অফিস ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানীয় জল সরবরাহ, রাস্তা, নিকাশি, তথ্য প্রযুক্তি, টালি নালা প্রভৃতি সংক্রান্ত কাজ দেখবেন। এছাড়াও নগর পরিকল্পনা, রাজস্ব আদায়, জমি সংক্রান্ত বিষয়, বিচারাধীন মামলা, জলাশয়, অডিট প্রকৃতি সংক্রান্ত কাজ তিনি খতিয়ে দেখবেন।
যুগ্ম পুর কমিশনার আবার বস্তি, উদ্যান ও বাগিচা, আলো, বাজার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা প্রভৃতি সংক্রান্ত কাজ দেখভাল করবেন। অন্যদিকে, পুর সচিব ১৯৮০ সালের কলকাতা পুর আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। সেক্ষেত্রে ওই আইন অনুযায়ী তাঁর ওপর যে সমস্ত কাজের দায়িত্ব রয়েছে তা খতিয়ে দেখবেন পুর সচিব। এরফলে শীর্ষ অধিকারিকদের কাজে যেমন বিভ্রান্তি হবে না তেমনি পুর পরিষেবার কাজও সুষ্ঠুভাবে দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে পুর কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, পুরসভার কাজে স্বচ্ছতা আনতে সম্প্রতি বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগে পুরসভাগুলির উপর নজরদারি চালাত রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। তবে এবার থেকে সেই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা শাসকদের। স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য জেলা শাসকদের বাড়তি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।