রাজ্যে প্রতিদিন করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বহু হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এরই মধ্যে রাজ্য ফার্মেসি কাউন্সিলের পূর্ত ভবনের অনেক কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে ফার্মাসিস্টদের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়া। এর ফলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন রাজ্যের প্রায় ১৫ হাজার ফার্মাসিস্ট।
এই সমস্ত ফার্মাসিস্টদের লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে এত সংখ্যক ওষুধের দোকান মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরেও খোলা রাখা হলে সে ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন ফার্মাসিস্টরা। অবশ্য অফিস বন্ধ রাখা নিয়ে আবেদনকারীদের মধ্যে সংক্রমণ রুখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছেন রাজ্য ফার্মাসি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার সায়ক হালদার। তিনি বলেন, 'আবেদনকারীদের সুরক্ষিত রাখতে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে অফিস।' তবে এর মধ্যে অনলাইনে কাজ শুরু করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ফার্মাসিস্টদের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ না করা নিয়ে রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন অল ইন্ডিয়া কেমিস্ট অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক জয়দীপ সরকার। তিনি অভিযোগ করেছেন, 'ড্রাগ লাইসেন্স রিনিউ না করে নানা অজুহাতে ড্রাগ ইন্সপেক্টররা ফার্মাসিস্টদের ঘুরিয়ে বেড়াচ্ছেন।' এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে ড্রাগ লাইসেন্স না পেয়ে প্রতিদিন ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শয়ে শয়ে ফার্মাসিস্ট।
এরই মধ্যে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তা পিছিয়ে দেওয়ার ফলে ফার্মাসিস্টরা আরও সমস্যায় পড়বেন বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। এই অবস্থায় অবিলম্বে লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের ফার্মাসিস্টরা। তবে আধিকারিকরা অফিস বন্ধ রাখা নিয়ে কোভিডের কারণ দেখালেও সে ক্ষেত্রে অনলাইনে কাজ হলে ফার্মাসিস্টদের অফিসে সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য আসতেই হবে। সে ক্ষেত্রে ভিড় সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলের ওই আধিকারিক।