মানুষের কথা নয়, রাজনীতির কথা ভেবেই পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সাপ্তাহিক কমপ্লিট লকডাউনের দিন মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে এমনটাই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে তাঁর দাবি, কেন বারবার লকডাউনের দিন বদল করা হচ্ছে তার জবাব দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এদিন অযোধ্যায় রাম মন্দিরের বদলে যারা হাসপাতাল তৈরির দাবি তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন দিলীপবাবু।
শনিবার ইকো পার্কে মর্নিং ওয়াক সেরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে কেন লকডাউন হচ্ছে তা কেউ জানে না। সরকারও জানে না কেন তারা লকডাউন করছে। তাউ বারবার লকডাউনের দিন পরিবর্তন হচ্ছে।’
দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘এতে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া সাধারণ মানুষ জানতে চাইছে কেন বারবার লকডাউনের দিন বদল করছে সরকার। রাজ্য সরকারের উচিত মানুষকে তার জবাব দেওয়া।’
এর পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ করে আক্রমণ শানান দিলীপবাবু। বলেন, ‘সরকার কেন বারবার লকডাউনের দিন বদল করছে তা বলার ক্ষমতা তাদের নেই। কারণ মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের কথা ভেবে লকডাউন করছেন না। লকডাউন করছেন রাজনীতির কথা ভেবে।‘
পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরীক্ষার ফলে গরমিল ধরা পড়ছে বলে দাবি করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আজকে যারা করোনা নেগেটিভ, কাল তারা পজিটিভ হয়ে যাচ্ছে। বহু মানুষের ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার ব্যাপারে আরও সাবধান হওয়া উচিত মানুষের।’
অযোধ্যায় রাম মন্দিরের জায়গায় যাঁরা হাসপাতাল তৈরির দাবি করছেন তাঁদেরও এদিন একহাত নেন দিলীপ। বলেন, ‘ভারতের ঐতিহ্য রামমন্দির। হাসপাতালের সংস্কৃতি থেকে মন্দিরের সংস্কৃতি অনেক বেশি দরকারি। অযোধ্যার কোনও মানুষ মন্দিরের শিলান্যাসের বিরোধিতা করেননি। কারণ তারা ৫ শতক ধরে মন্দিরের জন্য প্রাণ দিয়েছেন।’
হাসপাতালের দাবিতে যারা সরব তাদের কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, ‘যারা হাসপাতাল হাসপাতাল করে চিৎকার করছেন তারা নিজের রাজ্য মানুষকে ঠিক করে চিকিৎসা পরিষেবাই দিতে পারেন না। হাসপাতালে বেড নেই। উলটে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। উত্তর প্রদেশে পর্যাপ্ত হাসপাতাল রয়েছে।’ দলীপের দাবি, নিজের ধর্মের কথা বুক ফুলিয়ে বলতে যাঁরা ভয় পান তাঁরাই রামমন্দিরের বিরোধিতা করছেন।‘