জল্পনা ছিল আগে থেকেই। অবশেষে তা সত্যি হল। দলের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তৃণমূলের সংগঠনে বড়সড় রদবদল করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ করে জঙ্গলমহলে ঢেলে সাজানো হল সংগঠন। বদল হল জঙ্গলমহলের প্রতিটি জেলার জেলা সভাপতি। রাজ্যকমিটিতে এল জঙ্গলমহলের একাধিক মুখ।
জানা গিয়েছে পুরুলিয়ার জেলা সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়েছেন শান্তিরাম মাহাতো। তাঁর জায়গায় জেলা সভাপতি হয়েছেন গুরুপদ টুডু। ঝাড়গ্রামে বীরবাহা সোরেনকে সরিয়ে আনা হয়েছে দুলাল মুর্মুকে। বাঁকুড়া জেলা সভাপতি হয়েছেন শ্যামল সাঁতরা। জঙ্গলমহল থেকে ছত্রধর মাহাতো, সুকুমার হাঁসদা ও চূড়ামণি মাহাতোকে রাজ্য কমিটিতে আনা হয়েছে।
রদবদল হয়েছে রাজ্যের অন্যত্রও। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি হয়েছেন পার্থপ্রতীম রায়। নদিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি হয়েছে মহুয়া মৈত্র। হাওড়ায় অরূপ রায়কে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে লক্ষ্মীরতন শুক্লকে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনা হয়েছে রাজ্য কমিটিতে। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অর্পিতা ঘোষকে। দিনকয়েক আগেই অরূপের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন তিনি। রাজ্য কোর কমিটিতে আনা হল শুভেন্দু অধিকারীকে।
এদিনের বৈঠকের আগেই তারুণ্যকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাধান্য দিতে পারেন বলে জল্পনা চলছিল। সূত্রের খবর, বুড়ো হাড়ে যে বিজেপিকে রোখা সম্ভব নয়। মমতার এই দল ২০২১-এর নির্বাচনে বিজেপিকে রুখতে পারে কি না তা দেখার।