জগদীপ ধনখড় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে বিতর্কের রেশ এবার পড়ল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটন বিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকী উদযাপনেও। এদিন রাজভবনে বাজপেয়ীর পোর্ট্রেট উন্মোচন হল। সেখানে আমন্ত্রণ পেলেও যাননি মুখ্যমন্ত্রী। এতেই ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। শুধু মমতা নন, তাঁর কোনও প্রতিনিধিও এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না। প্রসঙ্গত বাজপেয়ী সরকারের মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন মমতা। তাঁর বাড়িতেও এসেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এদিনের অনুপস্থিতি কিছুটা অপ্রত্যাশিত।
রাজ্যপাল বলেন যে নভেম্বর মাসেই মমতার কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল এই অনুষ্ঠানে এসে পোর্ট্রেট উন্মোচন করার জন্য। কিন্তু কোনও সাড়া আসেনি মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে। এদিন অটল বিহারী বাজপেয়ীর কথা ব্যবহার করেই মমতাকে বিঁধেছেন ধনখড়। রাজ্যপাল বলেন যে অটলজি বলতেন সব বিষয়ে সবাই একমত হবে না। কিন্তু বিবাদ থাকা মানেই শত্রু হয়ে যাওয়া নয়। ২০০১ থেকে ২০০৪ সালেের মধ্যে মমতার রাজনৈতিক জীবনে অটল বিহারীর বড় অবদান ছিল বলেও দাবি করেন ধনখড়।
রাজ্যপাল বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত, নাই আসতে পারেন। কিন্তু এই অনুষ্ঠান নিয়ে কিছু না বলা, কোনও মন্ত্রী বা আমলাকে না পাঠানোয় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর আচরণে ব্যথিত বলে জানান ধনখড়। শেষ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ইস্যুতে সংঘাতে জড়াচ্ছে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গে ধনখড় বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল অতীতকে আঁকড়ে পড়ে থাকতে পারেন না।
রাজভবনের কিং রুমে রাখা হয়েছে থ্রি-ডি পোর্ট্রেটটি। শিল্পীর হাতের কাজের প্রশংসা করেন রাজ্যপাল।