রাজ্যে প্রবেশ করেছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় আজ বর্ষা প্রবেশ করেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে গোটা রাজ্যে ঢুকে যাবে বর্ষা। আর এই অবস্থায় বউবাজারে কাজ করতে রাজি নয় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। গত ১১ মে দ্বিতীয়বার বউবাজারে যে ঘটনা ঘটেছে তার পরে আর ঝুঁকি নিতে চায় না কেএমআরসিএল। নির্মাণ সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে তারা বর্ষার পরেই কাজে হাত দেবে।
পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ থেকে টানেল বোরিং মেশিন চন্ডী এবং উর্বিকে বাইরে বের করার জন্য গর্ত করা হয়েছিল। সেই গর্ত দিয়ে জল ঢোকার ফলেই ১১ মে দুর্গাপিতুরি লেনে একাধিক ঘটনা দেখা দিয়েছিল। ওই গর্ত দিয়ে টানেল বোরিং মেশিন তুলে অনার পর সুড়ঙ্গ নির্মাণের জন্য বড় গর্ত করা হয়েছিল। সেখানে জল আটকাতে ২৫০ ঘনমিটার তরল কংক্রিট ঢালা হয়। তবে এখনও সেখানে জল বেরোচ্ছে কিনা তা জানার জন্য কংক্রিটের ওপর দিয়ে ২ ইঞ্চি ব্যাসের ফুটো করে দেখতে চায়ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, বর্ষা শুরু হয়ে গেলে বড়সর বিপদ ঘটতে পারে সেই আশঙ্কায় ঠিকাদার সংস্থা আপাতত সেই কাজে হাত লাগাতে চায়ছে না। বর্ষার পরেই তারা এ নিয়ে কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, আইআইটি রুরকির বিশেষজ্ঞ টিম সেখানে মাটি পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেবে মেট্রোকে। সেইসঙ্গে ব্রিটিশ সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ জন এন্ডিকট জুনের মাঝামাঝি এসে পৌঁছবেন। তিনি সুড়ঙ্গ পরীক্ষা করে দেখবেন। এর আগে বউবাজার বিপর্যয়ের পর তিনিই রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন। অন্যদিকে, দুর্গা পিতুরি লেন এবং লাগোয়া এলাকায় মাটিকে স্থায়ীত্ব দিতে গ্রাফটিংয়ের কাজ চলছে। মাটি ধসে যাওয়ার প্রবণতা আটকানোর চেষ্টা করছেন মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররা। ফলে বর্ষা শুরু হয়ে গেলে সেই কাজ আর সম্ভব হবে না বলেই জানাচ্ছে মেট্রো।