এবার দুয়ারে সরকার নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। একটি শিবিরে যাতে চারশোর বেশি মানুষের জমায়েত যাতে না হয় তার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিল নবান্ন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে জানান, ভিড় এড়াতে বা জমায়েত এড়াতে প্রয়োজনে কয়েক গুণ বাড়ানো হোক শিবিরের সংখ্যা। উল্লেখ্য, হাওড়া এবং মালদহের শিবিরে ভিড়ে পদপিষ্ট হওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তা থেকেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। আবার করোনা সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্যই নবান্নের এই নির্দেশিকা বলেও মনে করছেন অনেকে।
এদিনের বৈঠকে জেলাগুলিকে নবান্ন জানিয়েছে, চারশো জনের জন্যই একটি করে শিবির করতে হবে। তার বেশি ভিড় মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে বুথওয়াড়ি শিবির করতে হবে। তাই অবিলম্বে যাতে ভিড় ঠেকানো যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। সূত্রের খবর, নবান্নের এই নির্দেশের পর জেলার পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসকদের অনেকেই।
এখন গোটা রাজ্যেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুযায়ী, ২০ অগস্ট নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৭৫৮। ২১ অগস্ট কমে হয় ৬৭৮। ২২ এবং ২৩ অগস্ট আরও কমে হয়েছিল যথাক্রমে ৫৬১ ও ৫১০। ২৪ অগস্ট তা ফের বাড়লেও সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৬১৩। ২৫ এবং ২৬ অগস্ট সংক্রমণের সংখ্যা হয়েছে যথাক্রমে ৭০৮ ও ৭১৭। যা বিরাট চিন্তার বিষয় নয়।
জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকারের শিবিরগুলিতে ভিড় যতটা ঠেকানো যায় সেটাই চাইছে রাজ্য সরকার। তাই শিবির বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় স্তরে কন্টেইনমেন্ট জোন এবং টিকাকরণের উপর নিয়মিত জোর দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে। দুয়ারে সরকারের শিবিরগুলিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে আরও কড়াকড়ি করতে চাইছে নবান্ন।