তাঁকে নিয়ে এখন কংগ্রেস–সিপিআইএমের অন্দরে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাঁর সঙ্গে জোট রাখা আর উচিত কিনা এই নিয়ে দুই দলেই ফাটল স্পষ্ট। তাঁর দল থেকে একটি মাত্র আসন বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছে। এবার তাঁকে সর্বদলীয় বৈঠকে ডাকা হয়নি বলেই অভিযোগ। হ্যাঁ, তিনি আইএসএফ দলের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। আগামী ২ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে চলতি মরসুমের বিধানসভা অধিবেশন। তার আগে সোমবার সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই বৈঠকে ডাক পাননি ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলে অভিযোগ তাঁর। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
এই ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ সংযুক্ত মোর্চার বিধায়ক। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘আমার কাছে আজকের সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে কোনও খবর নেই। আমার কাছে কোনওভাবেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাই উপস্থিত থাকার প্রশ্ন আসছে না। বে এটা কেন হল তা নিয়েই প্রশ্ন থাকছে। আমরা মাননীয় স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়ে পুরো বিষয়টা জানতে চাইব।’
একুশের নির্বাচনে আইএসএফ–এর সঙ্গে জোট করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল বাম–কংগ্রেস। কিন্তু তারা একটিও আসন পাননি। বরং আইএসএফ একটি আসন পায় ভাঙড় থেকে। অনেকে মনে করছেন অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের হারে আমন্ত্রণ জানানো হয় সর্বদলীয় বৈঠকে। তাহলে কি একমাত্র বিধায়ক হওয়ায় ডাক পেল না সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধি? উঠছে প্রশ্ন।