হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। রোজই তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্বেগ। এর সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে করোনার টিকাকে ঘিরে নানা হয়রানির অভিযোগ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিকার জন্য লাইন দিচ্ছেন বাসিন্দারা। কিন্তু তারপরেও টিকা মিলছে না বলে অভিযোগ। এসবের মধ্যেই এবার করোনার টিকাকরণ নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছে নতুন গাইডলাইন পাঠাল রাজ্য সরকার। ঠিক কী রয়েছে সেই গাইডলাইনে?
সেই গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়েছে ৩০শে এপ্রিলের পর ভ্যাকসিনের সমস্ত পুরানো স্টক সরকারের কাছে ফেরৎ দিতে হবে। ১লা মে থেকে করোনার টিকাকরণ চালাতে হলে নয়া নিয়ম মানতে হবে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে। এবার নয়া নিয়ম অনুসারে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে টিকা উৎপাদনকারী সংস্থার কাছ থেকে সরাসরি ভ্যাকসিন কিনে নিতে হবে। কিন্তু এর জেরে যদি টিকাকরণ বন্ধ হয়ে যায়? সেব্যাপারে বলা হচ্ছে টিকাকরণের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। অন্যদিকে নিয়ম অনুসারে কোনও ব্যক্তি সরাসরি টিকা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে আসতে পারবেন না। নির্দিষ্ট কো উইন পোর্টালে গিয়ে নাম নথিভুক্তিকরণের পর তাদের হাসপাতালে আসতে হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার এতদিন পর্যন্ত যে টিকা বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছে পাঠাত, কার্যত সেই টিকা আর তারা পাঠাবে না। আগের স্টকও ফেরৎ দিয়ে দিতে হবে। পুরানো টিকা নিয়ে আর টিকাকরণ চালানো যাবে না। ১লা মে থেকে সরাসরি সংস্থার কাছ থেকে টিকা কিনতে হবে বেসরকারি হাসপাতালকে। অন্যদিকে প্রথম ডোজ যারা ২৫০ টাকা দিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিয়েছিলেন এবার তাদের দ্বিতীয় ডোজ নতুন দামে নিতে হবে। অথবা তারা বিনামূল্যে নিতে পারেন সরকারি হাসপাতাল থেকে। তবে এই গাইডলাইনের জেরে কিছুটা হলেও সমস্যায় বেসরকারি হাসপাতাল। এনিয়ে সহায়তা চেয়ে ফের চিঠি দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।