SSC দুর্নীতিতে গ্রেফতার চাকরির দালাল প্রসন্ন কুমার রায়ের সম্পত্তির খতিয়ান দেখে হতবাক তাঁর পুরনো পাড়ার প্রতিবেশীরা। কলকাতার নারকেলডাঙা মেন রোডের পাশে তাঁর পুরনো পাড়ার প্রতিবেশীরা বলছেন, কল্পনাও করতে পারছি না এত টাকার মালিক হয়েছে ও। এলাকায় যাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁরা বলছেন, সিবিআইয়ের ভয় করছে।
নারকেলডাঙা মেইন রোডের ধারে বস্তির এক চিলতে ঘরে কেটে প্রসন্নর শৈশব। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, মা বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে বেড়ে উঠেছেন প্রসন্ন। বাবা ছিলেন শিক্ষক। টালির চালার ভাড়া বাড়িতে দীর্ঘদিন ছিলেন তিনি। বাবা অবসর গ্রহণের পর প্রসন্নরা ফ্ল্যাট কিনে আবাসনে চলে যায়।
জামাই প্রসন্নর আমন্ত্রণে তাঁর আবাসনের পুজোয় গিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
এক প্রতিবেশী জানালেন, ছোটবেলা থেকে কখনও কোনও খারাপ দেখিনি। রাস্তার ওপর একটা দোকান কিনেছিল। সেখান থেকে গৃহশিক্ষক পাঠানোর সেন্টার চালাত প্রসন্ন। ওরা এখান থেকে চলে যাওয়ার পর ওই দোকানের ঠিকানায় অনেক চিঠি আসত। সেই চিঠিগুলো আমি রেখে দিতাম। পরে প্রসন্ন এসে নিয়ে যেত।
তিনি বলেন, টিভিতে ওর ছবি দেখে তো আমি হতবাক। এত টাকা ও করেছে কল্পনাও করতে পারছি না। কী করে এসবে জড়িয়ে পড়ল ও।
শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্নি জামাই প্রসন্নকুমার রায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গোয়েন্দাদের দাবি, প্রসন্নর মাধ্যমেই চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এসপি সিনহা। এমনকী প্রসন্ন বিধাননগরে যে অফিস থেকে গাড়ির কারবার চালান, সেখানে বসেই তৈরি হত কাকে কাকে চাকরি দিতে হবে তার তালিকা। এর পর প্রদীপ সিংয়ের মাধ্যমে সেই তালিকা পৌঁছত এসপি সিনহার কাছে।